ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সিএএ কার্যকর করা শুরু হবে: অমিত শাহ

ভারতে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) আওতায় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
Amit Shah-1.jpg
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) আওতায় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো সিএএ নিয়ে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু, এতে ভারতীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্বকে প্রভাবিত করবে না।’

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন, শিখ ও বৌদ্ধদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হয় ভারতের সংসদে।

অমিত শাহ বলেন, মোদি সরকার ২০১৮ সালে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে, ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এর বাস্তবায়ন স্থগিত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মমতা দিদি বলেছিলেন যে আমরা ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তিনি সিএএর বিরোধিতা শুরু করে বলেছিলেন যে তিনি কখনই এর অনুমতি দেবেন না। বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা পূরণ করে। আমরা আইন করেছি এবং শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে।’

‘করোনা টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরপরই সিএএর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে,’ যোগ করেন অমিত শাহ।

ঠাকুরনগরে অনেক মতুয়া সম্প্রদায়ের বাস এবং এটি বিজেপির একটি শক্ত ঘাঁটি। মতুয়ারা মূলত পূর্ব পাকিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন। দেশভাগের সময় এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর তারা ভারতে পাড়ি জমান। তাদের অনেকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেও, মতুয়াদের একটা বড় অংশ পায়নি।

এ কারণে, আজ ঠাকুরনগরে সিএএ সম্পর্কে অমিত শাহের বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকেই।

অমিত শাহ বলেন, ‘এ বছর এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনের পরে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন না। তাই, তিনি সিএএ বাস্তবায়নের বিরোধিতাও করতে পারবেন না।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago