চীনে বিবিসি’র সম্প্রচার নিষিদ্ধ

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে চীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির টেলিভিশন ও রেডিও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনের এই সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ’।
গত বেশ কয়েকদিন থেকেই করোনাভাইরাস ও উইঘুর ইস্যুতে বিবিসি’র প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনা করে আসছিল চীন।
যুক্তরাজ্যে চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) লাইসেন্স বাতিলের পরপরই চীনের পক্ষ থেকে বিবিসি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
যুক্তরাজ্যের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকাম জানুয়ারির শুরুতে সিজিটিএন’র ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বিবিসি বন্ধ প্রসঙ্গে চীনা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও রেডি সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, চীন সম্পর্কে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের প্রতিবেদন সম্প্রচারের দিকনির্দেশগুলো লঙ্ঘন করেছে। তাদের প্রতিবেদন ‘সত্য ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত’ এবং ‘চীনের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত’ করা উচিত নয়।
আগামী এক বছর বিবিসি’র সম্প্রচারের আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বিবিসি জানিয়েছে, ‘চীনের এমন সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং সারা বিশ্ব থেকে ন্যায্য ও নিরপেক্ষভাবে কোনো ভয় বা পক্ষপাতিত্ব না করে বিবিসি সংবাদ সংগ্রহ করে।’
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে শুধু আন্তর্জাতিক হোটেল ও কিছু কূটনৈতিক এলাকায় বিবিসি সম্প্রচারিত হতো। অর্থাৎ, চীনের সাধারণ মানুষ বিবিসি দেখতে পেতেন না।
চলতি মাসে উইঘুর নারীদের সাক্ষাত্কার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। সেখানে বলা হয়েছিল যে জিনজিয়াং শিবিরে মুসলিম নারীদের নিয়মিত ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবিসি’র ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করে।
Comments