‘এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সরবে না তুরস্ক’

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা থেকে সরবে না তুরস্ক। ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করতে চায় দেশটির সরকার।
S 400
রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা থেকে সরবে না তুরস্ক। ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করতে চায় দেশটির সরকার।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

এর দুই দিন পর গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি হাবের’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ‘ভুলভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে।

কালিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের মতবিরোধগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এতো দ্রুত সেসব সমস্যার সমাধান আশা করা উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত বলেছে যে তারা এস-৪০০ নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না। আবার তুরস্কও এস-৪০০ থেকে সরবে না।’

রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্ক এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ২০১৯ সালে আঙ্কারাকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের দাবি, ন্যাটো মিত্র দেশগুলোর কাছে এর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এটি কেনা জরুরি হয়ে পড়েছিল।

গত সপ্তাহে ইব্রাহিম কালিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানকে টেলিফোনে এস-৪০০ নিয়ে দ্বন্দ্ব দূর করার আহ্বান জনিয়েছেন।

গতকাল কালিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আবার আমরা কথা বলব। তখন বিরোধের বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হবে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও আগামীতে আলোচনা করবেন।’

আরও পড়ুন:

রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে তুরস্কের দর-কষাকষি

রাশিয়ার এস-৪০০: তুরস্কের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ভারতকে সতর্কতা

রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে এস-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে তুরস্ক

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago