বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি না পেয়ে হতাশ আলজেরি জোসেফ
অখ্যাত ব্যাটসম্যান কিংবা টুকটাক ব্যাটিং জানা ব্যাটসম্যান যাদের মূল কাজটা বোলিং, তারা বোধ হয় বাংলাদেশের বোলার বিপক্ষে ব্যাট করতে খুব পছন্দ করেন। ১১ নম্বরে নেমেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৫ রান করার উদাহরণ রয়েছে। রয়েছে নাইটওয়াচম্যানদের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও। সেখানে শুরু থেকে সাবলীলভাবে অসাধারণ ব্যাটিং করেও সেঞ্চুরি তুলতে না পারলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক আলজেরি জোসেফের।
বোলার হিসেবে পরিচিত হলেও ব্যাটিংটা খুব খারাপ করেন না আলজেরি। প্রয়োজনে কাজ চালাতে পারেন। কিন্তু এমন নয় যে সেঞ্চুরি করে ফেলার মতো মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যান তিনি। কিন্তু সে কাজটিই এদিন প্রায় করে ফেলেছিলেন। খেলেছেন ৮২ রানের ইনিংস।ব্যাটিংয়ে ছিল না আনকোরা কোনো ভাব। প্রতিটি বলই খেলেছেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মতোই। মূলত টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়েই এতোটা আত্মবিশ্বাসী ব্যাট করতে পেরেছেন এ পেসার।
মূলত তার ব্যাটেই মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান তুলতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিজে। কিন্তু দিন শেষে সে দুই ব্যাটসম্যান নন, আলোচনায় আলজেরির ব্যাটিংই। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে হতাশাই ঝরে তার কণ্ঠে, 'সেঞ্চুরি তুলে নিতে না পারাটা খুবই হতাশার। আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে অনেক কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে স্কোর করার জন্য আরও সুযোগ আসবে।'
এদিন জশুয়া ডি সিলভার সঙ্গে ২২১ বলে ১১৮ রানের এক জুটি করেছেন জোসেফ। ম্যাচে এটাই ছিল সর্বোচ্চ। জশুয়া বিদায় নেওয়ার পর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আলজেরি। মূলত সঙ্গী হারানোর পর দ্রুত রান তোলার চিন্তা খেলেছিল তার মনে। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়েই ডেকে আনেন বিপদ। রাহিকে টানা চার-ছক্কা মারার পর বড় শটে প্ররোচিত হয়ে লিটন দাসের তালুবন্দি হন। অন্যথায় বেশ দারুণ ব্যাটিং করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সেঞ্চুরি হাতছাড়া অবশ্য এই প্রথম করেননি আলেজেরি, কদিন আগে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও করেছিলেন। সেদিন ৮৬ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে ম্যাচে এতোটা সাবলীল ব্যাট করতে পারেননি। তবে এদিন ব্যাট করেছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতো। সে কারণেই হয়তো ৮২ রান করেও সন্তুষ্ট নন আলজেরি। সেঞ্চুরি না পেয়ে হতাশ তিনি।
Comments