পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী আটক, আহত অন্তত ১০ পুলিশ
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘর্ষের পর প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকা থেকে দলটির ১৮ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, একজন পুলিশ এবং বিএনপির অন্তত ১২ জন নেতা-কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর আগে, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ইশরাক হোসেনসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন বলে জানা যায়।
আজ সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একত্রিত হতে শুরু করেন এবং পরে সমাবেশ শুরু হয়। এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে প্রায় দুই ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যান চলাচল বন্ধ থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তাটি খালি করে দিতে অনুরোধ জানালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির সমর্থকরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারতে থাকেন।
এসময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হন এবং বিএনপির সমর্থকরা প্রেসক্লাবের ভেতর আশ্রয় নেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে আজ সকালে প্রেসক্লাবের সামনে দলের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলেন। সমাবেশের শেষপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই তাদের ওপর হামলা করে।’
‘পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং দলের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
Comments