লালমনিরহাট পৌর নির্বাচন: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত ৬

Lalmonirhat_Election_14Feb2.jpg
লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। ছবি: স্টার

লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল থেকে পাঁচটি কেন্দ্রের সামনে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এতে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মঞ্জুর মোর্শেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংসতায় আহত মফিজুর রহমান নামে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাপ্টানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শহীদ শাহজাহান কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়, গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও বত্রিশ হাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

তারা আরও জানান, সাপ্টানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের ছবি তোলায় নৌকার সমর্থকরা সাঈদ তাহেরুল ইসলাম সুফি নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর করে। এ সময় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবিগুলো মুছে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ তাহেরুল ইসলাম সুফি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ছবি মোবাইলে ধারণ করায় নৌকার সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালায়। নির্বাচনি সহিংসতার ছবি-ভিডিও তারা মুছে ফেলে। আমাকে বেদম মারধর করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

সকাল থেকে লালমনিরহাট পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় অনেকেই ভোট না দিয়ে ফিরে চলে যান।

নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

একই অভিযোগ করেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী মোশারফ হোসেন রানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। প্রায় সবগুলো কেন্দ্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ঘিরে রেখেছে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। কোনো কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়নি। কোথাও ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়নি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।’

সাপ্টানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মৃণালকান্তি রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ভোট কেন্দ্রের বাইরে কী ঘটেছে সেটা তার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতর পোলিং এজেন্ট নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তবে সেটার সমাধান হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

4h ago