‘এভাবে চলতে দেওয়া যায় না, পরিবর্তন করতে হবে’

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করা সিরিজে থাকতে হয়েছে শূন্য হাতে। চতুর্থ দিনের বেশিরভাগ সময় মাঠে বসে খেলা দেখেছেন বোর্ড প্রধান। খেলার উত্তেজনা তৈরি হলে এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বেরিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ান তিনি।
Nazmul Hasan
বিসিবি সভাপতির হাত থেকে টেস্ট সিরিজের ট্রফি নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সেরা কয়েকজন তারকাকে ছাড়া খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা একেবারে সামলাতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দল নির্বাচন থেকে খেলার পরিকল্পনা, খেলোয়াড়দের মনোভাব কোন কিছুই ঠিক মনে হচ্ছে না তার। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না বলে হুঙ্কার তুলে তিনি জানিয়েছেন, পরিবর্তন করতে হবে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে। এতে দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে মুমিনুল হকের দল।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করা সিরিজে থাকতে হয়েছে শূন্য হাতে। চতুর্থ দিনের বেশিরভাগ সময় মাঠে বসে খেলা দেখেছেন বোর্ড প্রধান। খেলার উত্তেজনা তৈরি হলে এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বেরিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ান তিনি।

কিন্তু তাকে হতাশ করে শেষ বিকেলে ম্রিয়মাণ আলোর সঙ্গে হার সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হন তিনি। ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবি কোনভাবেই হজম হচ্ছে না তার,  ‘খেলোয়াড়দের মনোভাব বলেন, কৌশল বলেন আমার কাছে মনে হয়...যে জিনিসটা সবাই মনে করে হওয়া উচিত, সেটা হচ্ছে না। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, আমাদের বাংলাদেশের টপ যারা, নামকরা, বিশ্বমানের তাদেরকে এখন বলে দিতে হবে টেস্টে কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে? এগুলো তো বলে দেওয়ার কথা না।’

মিরপুরে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ করতে পারে ২৯৬ রান। ১১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ২৩১ রানের লক্ষ্য পাওয়ায় শেষটা রাঙানোর সুযোগ ছিল মুমিনুল হকদের। সেটা তারা করতে না পারায় পরিবর্তনের দরকার দেখছেন নাজমুল,  ‘সমাধান খুবই সহজ, সমাধান হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমি আফগানিস্তানের পরে বেশি কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু আজকে আপনাদেরকে আমি বলছি, এর পরিবর্তন করতে হবে, অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই হোক...।’

‘সমস্যা সব জায়গায় আছে, এটাতো স্বীকারই করে নিচ্ছি। দুইটা টেস্ট সিরিজ দেখে বুঝেছি, সমস্যা তো আছেই। একটা দেখে কিছু বলতে পারিনি তেমন। এবার তো আপনাদেরকে বললাম।’

পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য দলের কৌশল, পরিকল্পনা আগে জানার দরকার মনে করেছেন তিনি। কেন এমন হলো কারণ জানতে চাইবেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। সেই সঙ্গে করোনায় জৈব সুরক্ষিত বলয় থাকায় দলের কাছে যেতে না পারার সীমাবদ্ধতার কথাও জানান তিনি,  ‘এগুলো আপনারা সময় আসলে সব জানতে পারবেন। কিন্তু আমাকে আগে জানতে হবে এখানে কি ঘটছে। ওরা কি কৌশল ছিল,  কি পরিকল্পনা করেছিল। এই জিনিসগুলো আগে জানতে হবে। আফগানিস্তান সিরিজটার সময় আমি ছিলাম না। এবার ছিলাম কিন্তু ওদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারি নাই।  একদিন একটা কথা হয়েছিল জুম মিটিংয়ে পুরো দলের সঙ্গে,  এটা যথেষ্ট নয়।’

‘এখন আমি যে জিজ্ঞেস করব আকরামকে (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান),  আকরামও জানে না কিছু। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি পরিকল্পনা হলো আজকে, কীভাবে ব্যাটিং করব আমরা। কেউ জানে না, নির্বাচকদের বললাম, বলে জানি না। কারণ আমরা তো ওইখানে যেতে পারছি না (টিম হোটেলে)। এই হলো অবস্থা। হয়েছেটা কি সেটা তো জানতে হবে। জানি না অনেক কিছু্। জানার পরেই আপনারকে জানাব।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago