‘তিন মোড়ল’ কেবল নিজেদের মধ্যে খেলবে কেন, প্রশ্ন স্মিথের

graeme smith
ছবি: সংগ্রহ

ওয়ানডে, টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্ট- তিন সংস্করণেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডকে একে অন্যের সঙ্গে প্রচুর ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। কিন্তু অন্য দলগুলো প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের কমই পায়। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার  পরিচালক ও দেশটির সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ বলছেন, ‘এটা অন্যায্য’। বাকিদেরও তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকা উচিত।

কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলে এসেছে ভারত। এখন ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে তারা। এরপর ইংল্যান্ড সফরেও আছে ভারতের খেলা। চলতি বছরেই ভারত-ইংল্যান্ডে একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে ৯ টেস্ট!

ইংল্যান্ডের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজও সামনে বাকি আছে অস্ট্রেলিয়ার। বছর জুড়েই তাই এই তিন দলের আছে অনেক খেলা।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে করোনার কারণে তা বাতিল করে দেয় তারা। এতে মোটা অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

স্মিথ তাই স্বাভাবিক কারণেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আইসিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ‘আগামী ১০ বছর তিনটি দেশ খালি নিজেদের মধ্যে খেলবে, ক্রিকেট বিশ্ব এটা চায় বলে মনে হয় না। এভাবে চললে খেলাটার উন্নতি হবে কীভাবে?’

এমন চলতে থাকলে বিভিন্ন রকমের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা স্মিথের। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংকটে পড়ে যেতে পারে বাকি দেশগুলো,  ‘এভাবে চলতে থাকলে টি-টোয়েন্টি লিগ বেড়ে যাবে। অনেক সদস্য দেশ দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচই পাচ্ছে না। আইসিসির নেতৃত্বকে এসব জায়গা ঠিক করা দরকার।’

স্মিথ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সামনে আইসিসির প্রচুর ইভেন্ট থাকায় ও তিন মোড়লের কারণে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলো পড়বে হুমকিতে, ‘আট বছরে আট আইসিসি আসর। আইপিএলের পরিধি বাড়া। ইংল্যান্ড-ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দাপটে এফটিপিতে বড় প্রভাব পড়বে। বাকি দেশগুলোর জন্য যা চ্যালেঞ্জের।’

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago