সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরছেন মঈন

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে এসে বেশ একটা অদ্ভুত অবস্থায় পার করছে ইংল্যান্ড। লম্বা সময় ক্রিকেটারদের থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার মানসিক ধকল সামলাতে নেওয়া হয়েছে তাই রোটেশন পলিসি। জস বাটলারের পর দেশে ফিরে যাচ্ছেন মঈন আলিও। ভারতের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্টে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। তবে বিশ্রাম শেষে ফিরেছেন জনি বেয়ারস্টো।
মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের কাছে ৩১৭ রানে হারে ইংল্যান্ড। এতে চার টেস্টের সিরিজে সমতায় আসে দুই দল।
এই টেস্টের দুই ইনিংসে চারটি করে ৮ উইকেট নেন অফ স্পিনার মঈন। তবে রোহিত শর্মাদের হাতে ব্যাপক মার খেয়ে প্রচুর রানও বের হয় তার বল থেকে। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪৩ রান।
প্রথম টেস্টে মঈনের জায়গায় খেলেছিলেন ডম বেস। এই অফ স্পিনার শ্রীলঙ্কা সফরেও দুই টেস্টে ছিলেন একাদশে। দলের সিরিজ জয়ে রাখেন ভূমিকা। ছন্দে থাকা বেসকে বাদ দিয়ে চেন্নাইতে দ্বিতীয় টেস্টে মঈনের একাদশে আসাও ছিল কিছুটা চমকের।
শ্রীলঙ্কা সফরের সময় অবশ্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে মঈনকে। জৈব সুরক্ষা বলয়, আইসোলেশন মিলিয়ে তার মানসিক ধকল কম নয়। দ্বিতীয় টেস্টের পর অধিনায়ক জো রুট জানান ক্রিকেটারদের স্বস্তিতে রাখতে ছুটি মঞ্জুর করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘মঈন দেশে ফিরতে চায়। সময়টা তার জন্য কঠিন। আমরা আগেই বলেছিলাম কেউ যদি মনে করে জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে বের হবে, আমরা তাহলে তাতে সায় দেব। সেটাই হয়েছে।’
‘মঈন বলয় ছেড়ে দেশে ফিরছে। এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাইব যত বেশি খেলোয়াড় স্কোয়াডে থাকবে, বিকল্প থাকবে। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে খেলোয়াড়দেরও স্বস্তিতে থাকা দরকার। সে পরিবারের কাছে ফিরতে চায়, আমরা তার সিদ্ধান্ত সম্মান করি।’
২৪ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট। এই ম্যাচটি হবে গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট। পরে আহমেদাবাদেই হবে শেষ টেস্টও। বাকি দুই টেস্টের উপর নির্ভর করছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোন দল।
তৃতীয় টেস্টের দলে নেওয়া হয়েছে জনি বেয়ারস্টো আর মার্ক উডকে। প্রথম দুই টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন এই দুজন।
Comments