লাইপজিগকে হারিয়ে কোয়ার্টারে এক পা লিভারপুলের
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অমার্জনীয় দুটি ভুল করল আরবি লাইপজিগ। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে কোনো ভুল করলেন না মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। জার্মান ক্লাবটিকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল লিভারপুল।
মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ২-০ গোলে জিতেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীরা। বিরতির পর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ ও মানে।
এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল লাইপজিগের ঘরের মাঠ রেড বুল অ্যারেনায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি। তাই ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয় হাঙ্গেরিতে।
ম্যাচে লড়াই হয়েছে প্রায় সমান-সমান। বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। সুযোগ তৈরিতে কিছুটা আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। লিভারপুলের নেওয়া ১০ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল। লাইপজিগ লক্ষ্যে রাখতে পারে ১২ শটের মাত্র দুটি।
ভাগ্যের বিড়ম্বনায় শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া হয়নি লাইপজিগের। দানি ওলমোর হেড বাধা পায় পোস্টে। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে এরপর লিভারপুল ওঠে আক্রমণে। সালাহ ও মানে সুযোগ নষ্ট করলে তাদেরও গোল পাওয়া হয়নি।
৩৮তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু রবার্তো ফিরমিনোর গোল বাতিল করা হয়। কারণ, বাইলাইনের বাইরে থেকে বলের যোগান দিয়েছিলেন মানে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পরপরই লিভারপুলকে বাঁচিয়ে দেন অ্যালিসন। ওলমোর পাসে ডি-বক্সে ঢুকে ক্রিস্তোফার এনকুনুর নেওয়া শট এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক রক্ষা করেন কর্নারের বিনিময়ে।
৫৩তম মিনিটে স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনেন সালাহ। মার্সেল সাবিতজারের ব্যাক-পাস সতীর্থ কোনো খেলোয়াড় খুঁজে পাননি। বরং তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লাইপজিগের জাল কাঁপান মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড সানে। কার্টিস জোন্সের লম্বা পাস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন নর্দি মুকিয়েল। বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি। বাকিটা অনায়সে সারেন মানে।
গোল শোধে এরপর বেশ কিছু আক্রমণ শানায় লাইপজিগ। কিন্তু ওলমো, আনহেলিনো ও সাবিতজারদের প্রচেষ্টা লক্ষ্যেই থাকেনি। যোগ করা সময়ে সুবর্ণ সুযোগ হারায় দলটি। টেইলর অ্যাডামসের থ্রু পাসে আগুয়ান অ্যালিসনকে ফাঁকি দিলেও বল জালে ঢোকাতে পারেননি বদলি স্ট্রাইকার হি-চ্যান হোয়াং।
Comments