আল জাজিরার কনটেন্ট সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে আদালতের নির্দেশ

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে সংবাদটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
virtual court
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে সংবাদটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 
আজ বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
 
এর আগে বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আল জাজিরার সংবাদে বাংলাদেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রের তকমা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই যে কারো প্রতিকার চাওয়ার অধিকার রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আল জাজিরার সংবাদ এবং লিংক সরিয়ে ফেলা উচিত।
 
রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য কি না সে বিষয়ে মতামত নিতে গত বুধবার ছয় জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আদালত। তারা হলেন— জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক।
 
রিট আবেদনকারী মো. এনামুল কবির ইমন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনো নোটিশ না দেওয়ায় আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে কি না আদালত সে প্রশ্ন তোলেন।
 
রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি আইন ও সংবিধানসম্মত ব্যাখ্যা দেন। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে যে কোনো সিদ্ধান্ত বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করতে পারে, যা আমাদের প্রচলিত আইন সমর্থন করে না।
 
তারা আরও বলেন, আল জাজিরার সংবাদে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। একইসঙ্গে রিট আবেদনটি গ্রহণ করার মতো যৌক্তিক কারণও তিনি উল্লেখ করতে পারেননি।
 
অপর অ্যামিকাস কিউরি আব্দুল মতিন খসরু বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী, সেনা বাহিনী এবং দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করা হয়েছে। তাই আদালত প্রয়োজন মনে করলে ওই তথ্যচিত্র অপসারণের নির্দেশনা দিতে পারেন। সেদিন পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-led interim govt takes charge

2 months of interim govt: Hopes still persist

The interim government had taken oath two months ago with overwhelming public support and amid almost equally unrealistic expectations.

2h ago