জরুরি সভায় সমাধানের পথ খুঁজলেন বিসিবি সভাপতি

পাঁচ সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিজের গুলশানের বাসায় ডেকেছিলেন বর্তমান দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে।
Nazmul Hasan Papon
নির্বাচক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশের হার মাঠে বসে দেখেছেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাঁচ সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিজের গুলশানের বাসায় ডেকেছিলেন বর্তমান দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে। বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই সভা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সভা শেষে বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হারের বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে খোলামেলা আলাপে সংকট উত্তরণের উপায় খুঁজেছেন তারা।

সম্প্রতি খর্ব শক্তি নিয়ে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ৯ বছর পর পড়তে হয় এমন বিব্রতকর অবস্থায়।

এই হারের পরই দেশের টেস্ট ক্রিকেটের জীর্ণ অবস্থা ফের বেরিয়ে আসে। হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ বিসিবি সভাপতিও।

বুধবার সেকারণেই ডাকা হয় অনানুষ্ঠানিক জরুরি সভা। তাতে যোগ দেন পাঁচ সাবেক অধিনায়ক। এদের প্রত্যেকেই অবশ্য আছেন বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।

ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান, গেম ডেভোলাপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, এইচপি চেয়ারম্যান  নাঈমুর রহমান দুর্জয়। দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও। 

পড়ে ডেকে নেওয়া হয় তিন সিনিয়র ক্রিকেটার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে। ছুটিতে থাকায় ছিলেন না সাকিব আল হাসান। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকও ছিলেন না এই সভায়।

পরে গণমাধ্যমকে দুর্জয় জানান সার্বিক বিষয় নিয়েই আলাপ করেছেন তারা, তারা বেরিয়ে এসেছে চলমান সংকট ও আগামীর পরিকল্পনার কথা,  ‘ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা ছিল, আমরা খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেছি। এর আগের কিছু সিরিজ, বাংলাদেশ দলের ব্যাপার ছিল। সেখানে আমাদের ডেভেলপমেন্ট, এইচপি সবকিছেু নিয়েই আলোচনা ছিল। বিশেষ করে সম্প্রতি যেটা শেষ হলো সেই সিরিজ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সবকিছু নিয়েই আমাদের আলোচনা ছিল।’

তিনি জানান, কঠোর কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও আগামী পথচলার নীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা,  ‘বার্তা তো আমাদের কাছে যাবে না বার্তা তো আমরা দিবো। সেই বার্তাটা এখনও দেয়ার সময় হয় নাই। বেশ কিছু জিনিস আছে আমাদের খেলোয়াড়দের অ্যাভেলেবিটি, সামনে আরও সিরিজ আছে সেই গুলোতে আমাদের বোর্ডের পলিসি কি হবে এগুলো নিয়ে আলোচনা  হয়েছে। কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো কিছু হয় নাই।’

খুব দ্রুত কোন অদল বদলে না গিয়েই পরিস্থিতি উন্নতি করার পথ খুঁজেছেন তারা, ‘সামনে যেহেতু মানে কাছাকাছি আরেকটা সিরিজ আছে (নিউজিল্যান্ডে) তো সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে পরিবর্তনের যেসব কথা বলছেন সেরকম কিছু মনে হয়নি । কিন্তু আমাদের প্রধান পরিবর্তন না করে আমরা কিভাবে ওইখান থেকে উত্তরণ করতে পারি। সবার মাথা থেকে, সবার আইডিয়া থেকে শেয়ার করা হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago