দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের নেতৃত্বে বরিশাল মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে মহানগর বিএনপি আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনসহ চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম বলেন, ‘পাশের দেশ মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রাস্তায় যেভাবে নেমে এসেছে, তেমনি বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে রাস্তায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোট ডাকাতির জন্য ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এই জনসভায় আসতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পাঁচ হাজার মানুষ নিয়ে ভোলা থেকে একটি লঞ্চ বরিশালে আসার পথে জনসভায় আসতে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বরিশাল লঞ্চ ঘাটে নামতে না দিয়ে লঞ্চ চরকাউয়ায় নিয়ে রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।
সভায় ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন সফল করতে হলে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে।’
তাবিথ আওয়াল বলেন, ‘এই সরকার স্বাধীন নির্বাচন হতে দেবে না। এখন তারা ভোটারদেরও দমন করছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। আগামী দিনে ভোটের অধিকারের মধ্যমে আমরা এর জবাব দেব।’
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপি মনোনীত চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক বুলবুল এবং খুলনার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বক্তব্য দেন।
বিকেল ৫টার দিকে ইশরাক হোসেন বক্তব্য দেওয়ার সময় বরিশাল মহানগর সভাপতি রেজাউল করিম রনি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি ও হাতাহাতি হয়। পরে ইশরাক হোসেনের আহ্বানে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
Comments