কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
হরতাল সমর্থনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কাদের মির্জা অভিযোগ করেছেন, তার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
হরতাল সমর্থনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কাদের মির্জা অভিযোগ করেছেন, তার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে কাদের মির্জার তার অনুসারীদের নিয়ে হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকালে কাদের মির্জা তার অনুসারীদের থানার সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে থানায় প্রবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনার পরে কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দেন আবদুল কাদের মির্জা।
সে সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল কাদের মির্জা তার সমর্থকদের লাঠিসোটা নিয়ে থানার সামনে অবস্থানের নির্দেশ দেন।
কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জানিয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাজনীতির অভিযোগ করেন। অথচ তিনি নিজেই অপরাজনীতিসহ নানা অনিয়ম করে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বসুরহাট পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণার তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বোঝা যায় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নন। নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত রাজনৈতিক দলের ভোটে। মনোনয়ন পাওয়ার আগে তিনি কখনো আওয়ামী লীগ বা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু, দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে পাগলের মতো প্রধানমন্ত্রী, তার বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তার স্ত্রীসহ ফেনী ও নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ অশালীন ভাষায় বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।’
আরও পড়ুন:
Comments