আবার রাস্তা অবরোধ করেছে ববি শিক্ষার্থীরা
দাবি আদায় না হওয়ায় ১৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে আবারও রাস্তায় নেমেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নেন।

আল্টিমেটাম শেষে আবারও রাস্তায় নেমেছেন ববি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে গ্রেপ্তার দুই জনকে মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন মোটর শ্রমিকরা। ছবি: টিটু দাস/স্টার
দাবি আদায় না হওয়ায় ১৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে আবারও রাস্তায় নেমেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মাহামুদুল ইসলাম তমাল বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৫টায় আমাদের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওসার হোসেন শিপন, শ্রমিক নেতা মানিক ও মামুনকে আসামি করে মামলা করার দাবি জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মামলা দিয়েছে কিন্তু সেখানে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই হত্যাচেষ্টা মামলা হোক, সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অন্তত ৫০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হোক। দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা মনে করি, মূল দায়ী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে সাধরণ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভোররাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মাধ্যমে পুলিশ মূল আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। পুলিশ তদন্ত করলেই মূল আসামি ও তাদের মোটিভ বেরিয়ে আসবে।’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) টিকিট কাউন্টারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে একজনকে ছুরিকাঘাত করে শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করলে ছাত্রাবাসে হামলা চালায় মোটর শ্রমিকরা। হামলায় ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত ১১ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করায় শিক্ষার্থী তিন দফা দাবিতে ১৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। এগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের মামলায় বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওসার হোসেন শিপন, শ্রমিক নেতা মানিক ও মামুনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলায় রূপান্তর, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ছিনিয়ে নেওয়া মোবইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করা।
এদিকে গ্রেপ্তার দুই শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে রুপাতলী চৌমাথা এলাকায় অবস্থান নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশাল-পটুয়ালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওসার হোসেন শিপন বলেন, ‘অন্যায়ভাবে পুলিশ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করেছে। শ্রমিকদের মুক্তি না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন
Comments