নিউজিল্যান্ডে এই অভিজ্ঞতা প্রথমবার হবে তাসকিনদের

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কোয়ারেন্টিনের কড়া বিধিনিষেধ মানতে হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে।
Taskin Ahmed

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কোয়ারেন্টিনের কড়া বিধিনিষেধ মানতে হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের প্রথম সাত দিন রুমের বাইরে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সতীর্থদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ। এমনকি সবাইকে পরিষ্কার করতে হবে যার যার রুমের টয়লেটও! অর্থাৎ এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে ক্রিকেটারদের, যা আগে ছিল কল্পনাতীত! তবে ‘সেলফ সার্ভিস’-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকেও কোয়ারেন্টিন নিয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়নি। রুম সার্ভিসবিহীন পরিস্থিতিতে নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হয়েছে তাদের। ক্রাইস্টচার্চের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহদেরও একই অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে হবে। সাত দিন পর থেকে মিলবে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা। যদিও স্থানীয় কোনো সাপোর্ট স্টাফ থাকবে না সেসময়। তবে ১৪ দিন পর থেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা যায় নিউজিল্যান্ডে। থাকে না কোনো রকমের বাধা।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের কাছে তাসকিন বলেছেন, কোয়ারেন্টিনের কড়াকড়ির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসিকভাবে শক্ত থাকছেন তারা, ‘এটা মানসিকভাবে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এরকম পরিস্থিতিতে তো আগে কখনও থাকা হয়নি। যদিও আমরা শেষ কয়েকটি সিরিজ বা টুর্নামেন্ট জৈব সুরক্ষা বলয়ের অভ্যন্তরে থেকে খেলেছি, এটা একটু আলাদা হবে... ছয় দিন একই রুমে বন্দি থেকে নিজে সবকিছু করা। তারপর কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ হলে আস্তে আস্তে অনুশীলন আরম্ভ হবে। তো মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা জরুরী। একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে।’

বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা সামলে বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ফের চালু হওয়ার পর যতগুলো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সিরিজ হয়েছে, সবখানে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। যদিও সেখানে মিলেছে বিলাসী জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা। তবে তাসকিন মনে করছেন, ইতোমধ্যে পরিবর্তিত বাস্তবতায় অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে তাদের, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে অনেকটা অভ্যাস হয়েছে। ছয় দিন একেবারে হাউসকিপিং ছাড়া থাকা হয়নি। আমরা পারব আসলে। সাধারণত, ক্যাম্প-ট্যাম্প করে অভ্যাস থাকে। সবকিছু মানিয়ে নিতে পারব।’

করোনাকালে বাংলাদেশের প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজটি। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুদল। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকালে ক্রাইস্টচার্চের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন ক্রিকেটাররা। সফর শেষ করে তারা দেশে ফিরবেন আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে।

নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে দলটির অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও পেসার ট্রেন্ট বোল্টের। সিরিজ চলাকালে অভিজ্ঞ দুই তারকাকে দেখা যেতে পারে আইপিএলে। এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেছেন, ‘যদি তারা মিস করে, তাহলে ওদের বদলি হিসেবে যারা খেলবে, তারাও তাদের সেরাটা দিয়েই খেলবে। দিনশেষে আসলে আমাদের (পরিকল্পনার) সঠিক বাস্তবায়নটা গুরুত্বপূর্ণ… দুই-তিন জন খেলোয়াড় (অনুপস্থিত থাকা) হয়তো খুব বেশি পার্থক্য তৈরি করবে না, যেহেতু ওদের কন্ডিশনে ওদের সঙ্গে খেলা।’

Comments

The Daily Star  | English

US must intervene to stop Gaza carnage

Says ‘helpless’ UN chief as 16 more die in the Palestinian enclave

59m ago