কেউই অপরিহার্য নয়: বিসিবি সভাপতি

Nazmul Hasan

বাংলাদেশের খেলা ফেলে সাকিব আল হাসানের আইপিএলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর নিজেদের নীতিতে বদল আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ধারা। কোনো ক্রিকেটার বাংলাদেশের হয়ে কোনো সংস্করণে খেলতে না চাইলে তাকে চুক্তির আগেই সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশ দলে কেউই অপরিহার্য নয়। কেউ খেলতে না চাইলে তাকে ছাড়াই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের নিয়ে সভায় বসেছিলেন বিসিবি প্রধান। সেখানে নিউজিল্যান্ড সফর ও সাকিবের ইস্যু নিয়ে হয়েছে আলোচনা।

সভা শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন নিজেদের পরিষ্কার অবস্থানের কথা। ক্রিকেটারদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে চলার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিজেদের কিছুটা জিম্মি মনে হচ্ছে তার। তবে এই সংকটই তৈরি করে দিচ্ছে নতুনভাবে চলার পথ, ‘এটা একেবারে অস্বীকার (ক্রিকেটারদের ইচ্ছায় জিম্মি) করার পথ নেই। এর আগেও যে হয়নি তা না। এখন আমাদের চিন্তা খুবই পরিষ্কার। আমরা কাউকে জোর করে খেলাব না। যে খেলতে চায় না, খেলবে না এবং কেউই অপরিহার্য নয়। আমরা চাই, সকলে খেলুক। কিন্তু কারও জাতীয় দল ছেড়ে অন্য কোথাও খেলতে যদি ভালো লাগে, তাহলে নিশ্চিন্তে যেতে পারে। এই বার্তাটা সবার জন্য। কেবল সাকিব আল হাসানের জন্য না।’

গত বছর সাদা ও লাল বলের জন্য দুটি ভিন্ন চুক্তি চালু করে বিসিবি। সেটার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন বছরে ফের চুক্তি করার কথা। সাকিবের আইপিএল ইস্যু তৈরি হওয়ায় এখন সেই চুক্তিতে আসতে যাচ্ছে বদল। এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার কোনো সংস্করণে না খেলতে চাইলে বোর্ডকে জানাতে হবে আগেভাগেই। আর সেভাবেই হবে চুক্তি। চুক্তিতে সই করার পর বাংলাদেশে খেলার সময় আর ছুটি নেওয়া যাবে না, ‘আমরা ওদের সঙ্গে একটা চুক্তিতে যাব এখন। চুক্তি তৈরি হবে নতুন করে। আমাদের চুক্তি শেষ হয়েছে, এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি হয়নি। এখন চুক্তিতে নতুন কিছু জিনিস যুক্ত হবে। কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়, বলতে হবে। ওই সময় তারা জাতীয় দলে খেলবে না অন্যখানে, সেটাও আগে জানাতে হবে। এই চুক্তিতে যে সই করবে, তাকে তো আমরা যেতে দিব না।’

এটা কেবল এক বা দুই সিরিজের বিচারে হবে না। দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তিতেই যাবে বিসিবি। নাজমুল পরিস্কার করে বলেছেন, কেউ যদি বলে, জাতীয় দলের হয়ে খেলব, তখন তাকে খেলতেই হবে। আর খেলতে না চাইলে চুক্তির আগেই জানাতে হবে। তখন আর চুক্তিতে রাখা হবে না, ‘এখনই করতে পারে (চাইলেই ছুটি নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ)। ওরা সবাই যদি লিখে দেয় আমরা কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই না, আমি এখনই রাজি। তবে আমাকে অবশ্যই জানাতে হবে। সফরের আগে গিয়ে বললে হবে না। হঠাৎ করে সিরিজের আগে আওয়াজ শুনি (না যাওয়ার)। এগুলো চাচ্ছি না। যে খুশি বলে দিক, কে কে খেলতে চায় না। কোনো অসুবিধা নেই, তবে সিরিজের আগে না। আমাদের সময় লাগবে, আমি একটা বছর সময় চাই। এক বছর পরে কাউকে লাগবেও না, কোনো অসুবিধা নেই।’

আগামী এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওই সময় চলবে আইপিএলও। এবারের আসরে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছে সাকিবকে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার পরে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের হয়ে তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন না। বরং ওই সময় খেলতে যাবেন আইপিএলে। বিসিবিও সাকিবকে জোর করে আটকায়নি, মঞ্জুর করেছে ছুটি।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

6h ago