কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধূ রুবা আক্তার (১৮) হত্যা মামলায় শ্বশুরবাড়ির ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ শাহজাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত রুবা আক্তার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকীর মেয়ে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়ার মো. সোহরাব হোসেন (৫৫), স্ত্রী মোছা জোছনা বেগম (৫০), তাদের ছেলে মো. শরিফ (৩২), মুসলিম (৬৫) ও তার স্ত্রী নূর নাহার (৫০) ও প্রতিবেশী লুৎতু ওরফে রুকন (৩০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের মে মাসে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামে আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো. শামীমের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর মেয়ে রুবা আক্তারের। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর একই বছরের ৩ জুন শামীম তার শ্বশুরবাড়িতে খবর দেন রুবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে শামীমের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে রুবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় একই বছরের ৪ জুন নিহত রুবা আক্তারের বড় ভাই মো. আলামিন বাদী হয়ে রুবার স্বামী মো. শামীম ও তার চাচা-চাচীসহ সাত জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) খোন্দকার শওকত জাহান নিহত গৃহবধূর স্বামী শামীম ছাড়া ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Comments