১ মার্চের মধ্যে না খুললে হলে উঠে যাওয়ার ঘোষণা ইবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হল ও ক্লাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা পয়লা মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এসময় স্থগিতকৃত পরীক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করে দেওয়া ও পয়লা মার্চের মধ্যে না খুললে হলে উঠে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিক।
সংবাদ সম্মেলনে ইবি শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ ও আরবি ভাষা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বক্তব্য রাখেন।
জি কে সাদিক বলেন, ‘সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে চাইছে না। তবে সারাদেশে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।’
‘করোনা সংক্রমণ কমে এসেছে এবং ভ্যাকসিনও চলে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৭ মে হল ও ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার যে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে সরে এসে দ্রুত হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে’, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি করে আমরা সেটিকে প্রত্যাখ্যান করছি। এ সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়েই গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
উপাচার্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সবকিছুই করা হবে পরিস্থিতির আলোকে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চান ক্লাস-পরীক্ষাই হোক। কিন্তু তাদেরকেও চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
নোটিশ জারি
আজ ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সব পরীক্ষা স্থগিত করে বিভিন্ন বিভাগে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
আরও পড়ুন:
Comments