‘বিষয়টি আমি দেখছি...’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শুরু হয়ে অর্ধেক শেষ হয়েছে। স্নাতকোত্তরের শুধু একটি পরীক্ষা বাকি আছে। এরিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকি পরীক্ষাগুলো স্থগিতের দিকে যাচ্ছে। এ খবর পাওয়ার পর পরই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘গতকালের মিটিংয়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিটি কেবল সুপারিশ করেছে। সুপারিশকৃত ফাইলটি আমার কাছে এখনো এসে পৌঁছায়নি। বিষয়টি আমি দেখছি...।’
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় রাজধানীর নীলক্ষেত-নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ বিক্ষোভ চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। এতে নিউমার্কেট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অফিসমুখী মানুষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে সেশনজটে পড়েছেন। অনেক দাবি জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ তা স্থগিতের কথা বলা হচ্ছে। বাকি পরীক্ষাগুলো চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিংকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের স্নাতকোত্তরের একটা পরীক্ষা বাদে সব পরীক্ষা শেষ। এর মধ্যে বাকি পরীক্ষাটি স্থগিতের কথা বলছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। করোনার শুরু থেকে আবাসিক হল বন্ধ রয়েছে। মেস ভাড়া করে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছি। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত হলে তিন মাস পর্যন্ত আমাদের মেস ভাড়া করে থাকতে হবে। আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা সমান নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ঘটনাস্থলে অনেক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি থাকতে দেখা গেছে।
লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সানওয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছেন না। তারা তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। এটা শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মধ্যকার বিষয়। রাস্তা অবরোধ করে রাখায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে সাত কলেজের দায়িত্ব থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে ফোন করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন:
Comments