রাউলকে ছাড়িয়ে রোনালদো-মেসির পেছনেই লেভানদভস্কি
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন এককভাবে দখল করেছেন রবার্ত লেভানদভস্কি। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা রাউল গঞ্জালেজকে।
মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লাৎসিওকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন লেভানদভস্কি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকারের গোল এখন ৭২টি। রাউল করেছিলেন ৭১ গোল। লেভানদভস্কির চেয়ে এই প্রতিযোগিতায় বেশি গোল আছে কেবল দুজনের- ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির।
জুভেন্টাসের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লক্ষ্যভেদ করেছেন ১৩৪ বার। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসির নামের পাশে আছে ১১৯ গোল। ৬৯ গোল নিয়ে রিয়ালের করিম বেনজেমা রয়েছেন পাঁচে।
শুরু থেকে স্বাগতিক লাৎসিওকে চেপে ধরা বায়ার্ন জালের ঠিকানা খুঁজে পায় নবম মিনিটে। গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মাতেও মুসাচ্চিও। তার দুর্বল পাস পেপে রেইনার কাছে পৌঁছানোর আগেই নিয়ন্ত্রণে নেন লেভানদভস্কি। এরপর বাকিটা তিনি সারেন অনায়াসে।
লেভানদভস্কির সেরা তিনে ঠাঁই পাওয়ার ম্যাচে রেকর্ডও হয়েছে একটি। জামাল মুসিয়ালা (১৭ বছর ৩৬৩ দিন) ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে ২৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বাভারিয়ানরা। লিয়ন গোরেৎস্কার পাসে ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে গড়ানো নিখুঁত শটে লাৎসিওর জাল খুঁজে নেন মুসিয়ালা।
কেবল ইংল্যান্ডের নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো জার্মান ক্লাবের সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতার স্বীকৃতিও এখন মুসিয়ালার। আরও একটি রেকর্ডে তিনি জায়গা পেয়েছেন দুইয়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার তালিকায় মুসিয়ালার উপরে আছেন কেবল বোয়ান। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ১৭ বছর ২১৭ দিন বয়সে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড।
নবীন শিষ্যের প্রশংসায় বায়ার্নের কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেছেন, ‘গোটা দলের মতো সে-ও দারুণ পারফর্ম করায় আমরা খুবই খুশি। তার গোলটিই দেখিয়েছে সে কী করতে পারে।’
Comments