৩ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ফেরি চলাচল ছিল।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে ৭ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।
ঘাটে আটকে পড়া বরিশালগামী পণ্যবাহী ট্রাকের চালক জুয়েল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে গাড়ির লাইনে আছি। কুয়াশার কারণে দূর থেকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সকাল সাড়ে ৮টার পর ঘাটে কুয়াশা কেটে গেলেও পদ্মায় কুয়াশা দেখা গেছে।’
‘ফেরি চালু হলেও গাড়ির লাইন দীর্ঘ। তাই পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
শরিয়তপুরগামী যাত্রী আওলাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভোর ৫টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে সকালে পদ্মাপাড়ের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে আসি। দেখি ফেরি চলছে না। পরে তিন ঘণ্টা বসে থাকার পর ৮টার দিকে ফেরি চালু হয়। ফেরিগুলোতে যানবাহনের অনেক চাপ পড়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসি'র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, আজ ভোরে পদ্মার চারপাশে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশা বেড়ে গেলে নৌপথের দিকনির্দেশনামূলক বাতি অস্পষ্ট হয়ে আসে। সেসময় পদ্মায় দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হয় ফেরিগুলো।’
‘দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ভোর সাড়ে ৫টা থেকে উভয় ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সে সময় চলাচলরত দুইটি ফেরি পদ্মায় যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকা পড়ে।’
তিনি জানান, ঘন কুয়াশা থাকায় ফেরিগুলো মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার পরে কুয়াশার মাত্রা কমে এলে দুই ঘাট থেকে ফেরি চলাচল শুরু করে।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে ৭ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।
Comments