চুক্তিতে নিচু গ্রেড দেওয়ায় হাফিজের প্রত্যাখ্যান
বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে তবু টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সফল মোহাম্মদ হাফিজ। তার হাত ধরে সাফল্যও পাচ্ছে পাকিস্তান। তবু বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কটা যেন মধুর হচ্ছে না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে পিসিবি তাকে ‘সি’ গ্রেডে রাখায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
এক সংস্করণ খেললেও মূলত সিনিয়র ক্রিকেটারদের রাখা উপরের শ্রেণীতে। ২০১৯ সাল থেকেই অবশ্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই হাফিজ। কিন্তু এই সময়ে যেহেতু তিনি খেলছেন সেহেতু ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফেলে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছিল। গত ১২ মাসে টি-টোয়েন্টিতে হাফিজের (৩৩১ রান) চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল ইংল্যান্ডের দাবিদ মালান (৩৮৬ রান)। এমন পারফরম্যান্সের কারণেই তাকে স্থায়ীভাবে চুক্তিতে নিতে চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর, গ্রেড পছন্দ না হওয়ায় রাজী হননি হাফিজ।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা নিয়েও পিসিবির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান হাফিজ। টি-১০ লিগ খেলতে থাকা হাফিজ চেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের কয়েকদিন আগে দলে যোগ দিতে। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণ দেখিয়ে পিসিবি তাকে টেস্ট সিরিজের মধ্যেই ফিরতে বলে। বনিবনা না হওয়ায় পরে তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে পিসিবি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রত্যাশিতভাবে উন্নতি হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের। দারুণ ছন্দে থাকা এই কিপার ব্যাটসম্যান ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে উঠেছেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। ১১ বছর পর টেস্টে ফেরা ফাওয়াদ আলমও মাঝপথে এসেছেন চুক্তিতে। কেবল টেস্ট খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে পিসিবি।
পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান জানান , রিজওয়ান ও ফাওয়াদ দুজনেই সানন্দে গ্রহণ করেছেন চুক্তি। কিন্তু হাফিজ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন, ‘পারফরম্যান্স রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসিম খানের নেওয়া সিদ্ধান্ত সানন্দে গ্রহণ করেছেন রিজওয়ান ও ফাওয়াদ। তবে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন হাফিজ।’
ওয়াসিম জানান, হাফিজের সিদ্ধান্তে তারা হতাশ, ‘হাফিজ গত কয়েকমাসে আমাদের সেরা পারফর্মারদের একজন। পারফরম্যান্সের এই স্বীকৃতি সে গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ। তবে তার সিদ্ধান্তে আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সে ২০২১-২২ সালের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে চায়।’
ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ আমিরকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শাহীন আফ্রিদি ও আজহার আলি ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠেছেন। সেখানে আছেন অধিনায়ক বাবর আজমও। সর্বোচ্চ এই ক্যাটাগরির জন্য মাসিক প্রায় ১১ লাখ পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ লাখ টাকা) পারিশ্রমিক পাবেন তারা।
Comments