মুশতাক গতকালও জামিন পাননি, আজ কারাগারে মারা গেলেন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
মুসতাক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন আজ রাতে বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মুশতাক গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। 

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা তাকে ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

গত বছর মে মাসে র‍্যাব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাক, কার্টুনিস্ট কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদার, মিনহাজসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের মধ্যে কিশোর ও মুশতাক গত নয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। মিনহাজ ও দিদার গত সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিন পান।

রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগারে মুশতাক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে, কারা কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

কারাগারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেপুটি জেলারের বরাত দিয়ে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় মুশতাক অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে থাকা মুশতাকের পরিবারের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেনি। তারপর তারা আমার নম্বর যোগার করে ফোন করে। ফোনে ডেপুটি জেলার আমাকে মুশতাকের মারা যাওয়ার সংবাদ দেন।’

আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকালও হাজিরা দিতে মুশতাক আদালতে এসেছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল তার শরীর খারাপ। কিন্তু জামিন পাননি।’

তিনি বলেন, ‘মুশতাক যদি গতকালও জামিন পেতেন তাহলে আমাদের হয়তো এই পরিণতি দেখতে হতো না। একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু বুঝি যে এ মামলায় মুশতাকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে অভিযোগে জামিন না পাওয়ার কোনো কারণই ছিল না। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি জামিন পেলেন না। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটা হত্যাকাণ্ড।’

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা এখন উদ্বিগ্ন কার্টুনিস্ট কিশোরকে নিয়ে। কারাগারে থেকে কিশোরও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কিশোরের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা এখন সত্যি তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago