খাশোগি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সৌদি বাদশাহকে বাইডেনের ফোন

সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন জো বাইডেন। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই বাদশাহকে ফোন করেছেন তিনি।
Jamal Khashoggi
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন জো বাইডেন। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই বাদশাহকে ফোন করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদনটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের তদন্তে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম আসতে পারে।

গত বুধবার জো বাইডেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি ওই রিপোর্ট দেখেছেন। শিগগিরই তিনি এই বিষয় নিয়ে যুবরাজ সালমানের বাবা সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলবেন।

আজ বাইডেন-সালমান ফোনালাপ নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে খাশোগির নাম উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে— ‘সৌদি নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথলউলসহ বেশ কয়েকজন সৌদি-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মীকে কারাগার থেকে সম্প্রতি মুক্তি দেওয়ায় তাদের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক আলোচনা করেছেন এবং সার্বজনীন মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের বিষয়টিও তাকে নিশ্চিত করেছেন।’

লুজাইন হাথলউলকে প্রায় তিন বছর আটক রাখার পর চলতি মাসে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তিনি এখনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আছেন এবং তাকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই দুই নেতা ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘকালীন অংশীদারিত্ব’ ও ইরানপন্থি গ্রুপগুলোর দ্বারা সৌদি আরব যে হুমকির শিকার সেই বিষয়েও আলোচনা করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাদশাহ সালমানকে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন (দুই দেশের) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথাসম্ভব দৃঢ় ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন। দুই নেতা সম্পর্কের ঐতিহাসিক ভিত্তি নিশ্চিত করেছেন এবং দুই পক্ষের জন্যই উদ্বেগজনক ও আগ্রহের ইস্যুগুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।’

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে যাওয়ার পরই নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। সৌদি রাজবংশের ক্ষমতাধরদের কড়া সমালোচনার জন্য সুপরিচিত ছিলেন তিনি।

তুর্কি পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছেন।

বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন। সাবেক ট্রাম্প প্রশাসন সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদনটিকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে প্রকাশ করেনি।

তবে বাইডেন কয়েকটি বিষয়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Mob justice is just murder

Sadly, when one lynching can be said to be more barbaric than another, it can only indicate the level of depravity of some our university students

21m ago