মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও আটকের নিন্দা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, হামলা ও আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
আজ শুক্রবার রাতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রাতে পুলিশি হেফাজতে কাশিমপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা যান ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ। এর প্রতিবাদে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে পুলিশ বর্বর লাঠিচার্জ, দফায় দফায় হামলা ও নেতৃবৃন্দকে আটক করে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশের হামলায় আহত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক অনিক কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সোহাগী সামিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতা মুন্নী সরদার, মুস্কান ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সাখাওয়াত ফাহাদ, আসরাফি নিতু, মেঘমল্লার বসু, শ্রাবণ চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, রায়হান আতিকসহ অন্তত ৪০ জন।
তাদের মধ্যে মুন্নী সরদার, সোহাগী সামিয়া ও মুষ্কান ইসলামের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ছাত্রফ্রন্ট।
এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং আটক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
এ হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সকাল ১২টায় টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
মশাল মিছিল থেকে নেতা-কর্মীদের আটকের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের পাঁচ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, আরও একজনকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা ধারণা করছি তাকেও আটক করা হয়েছে।’
এর আগে, সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান পৌনে ৮টার দিকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুজন বিক্ষোভকারীকে আটকের কথা জানিয়েছিলেন।
Comments