সৌদির ৭৬ নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, অস্ত্র চুক্তি পর্যালোচনা

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের ৭৬ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ওই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
USA-SAUDI-KHASHOGGI.jpg
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের সামনে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে স্মরণ। ছবি: রয়টার্স

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের ৭৬ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ওই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আজ শনিবার রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তরের চার পাতার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা বা আটক করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন।’

খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তি বাতিল বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স।

রয়টার্স জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে ভবিষ্যতে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে কেবল ‘প্রতিরক্ষামূলক’ অস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসনের চারটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের শুরুর দিকে ইয়েমেনে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি আরবের সঙ্গে আধা বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের চুক্তিতে বিরতি দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক এক অস্ত্র চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করছেন।

‘প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র’ হিসেবে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ধরনের নীতির আওতায় অনুমোদিত হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে হওয়া চুক্তির আওতায় প্রিসিশন গাইডেড মুনিশনস (পিজিএম) ও স্মল ডায়ামিটার বোমার মতো অস্ত্র এক্ষেত্রে অনুমোদিত হবে না।

গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর ট্রাম্প প্রশাসন ওই অস্ত্র বিক্রিকে অনুমোদন দিয়েছিল।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হুমকির মোকাবিলার জন্য ওয়াশিংটনের অন্যতম নিকটতম মিত্র দেশ সৌদি আরব।

বাইডেনের পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন। জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণা ও জয়ের পরেও সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন করে পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago