সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের আহ্বান
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াউ মো তুন।
আজ শনিবার রয়টার্স জানায়, গতকাল শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সু চি সরকারের পক্ষে দেওয়া শেষ ভাষণে তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দেশটির জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
কিয়াউ মো তুন বলেন, ‘নিরপরাধ জনগণের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
বার্মিজ ভাষায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে বেশ সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায়। শেষ ভাষণের পর তিনি সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে তিন আঙুলে স্যালুট দেন এবং বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যই বিজয়ী হবে।’
রয়টার্স জানায়, সেনাবাহিনীর হাতে আটক সু চি এর আগে গৃহবন্দি থাকলেও শুক্রবার তাকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শনিবারেও কয়েক হাজার আন্দোলনকারী মিয়ানমারের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। গত কয়েকদিনের মতো আজকেও সেনাবিরোধী মিছিলে পুলিশি হামলা ও আটকের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূল শহর ইয়াঙ্গুন এবং অন্যান্য শহরেও শনিবার খুব ভোরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণত সমাবেশ শুরু হওয়ার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছায়।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত কয়েকশ আন্দোলনকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবারের সমাবেশেও পুলিশ টিয়ার শেল, স্ট্রেন গ্রেনেড ও বাতাসে গুলি ছুড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মান্দালে ও দাউইসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরে সমাবেশে পুলিশি হামলা হয়েছে।
মনোয়া শহরে এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, পুলিশ সেখানে জলকামান নিক্ষেপ করেছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে তিন জন আন্দোলনকর্মীর মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
এক পুলিশ সদস্যও হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার।
Comments