‘চুক্তি নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার হাফিজ’

ফাইল ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টিতে ভীষণ ছন্দে আছেন চল্লিশ পেরোনো মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু তারপরও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিচু গ্রেড দেওয়ায় বোর্ডের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মঈন খান।

হাফিজ টি-টোয়েন্টি বাদে অন্য কোনো সংস্করণে খেলেন না। তাই ‘সি’ ক্যাটাগরিতে তাকে রেখেছিল পিসিবি। অথচ সিনিয়র খেলোয়াড়দের সাধারণত উপরের শ্রেণিতে জায়গা দেওয়া হয়। সেকারণে আজহার আলী ও ইয়াসির শাহ কেবল টেস্ট খেললেও আছেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

ওই প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ হাফিজের “এ” ক্যাটাগরির চুক্তি প্রাপ্য। তাকে “সি” ক্যাটাগরিতে রাখায় পিসিবির দ্বিমুখী অবস্থানের বিষয়টি স্পট হয়ে উঠেছে। অথচ আজহার আলী ও ইয়াসির শাহ এক সংস্করণে খেলে “এ” ক্যাটাগরিতে আছে।’

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচের দায়িত্বে থাকা মঈন যোগ করেছেন, ‘একজনের বিরুদ্ধে এটা স্পষ্টতই পক্ষপাতমূলক আচরণ।’

যদিও ইয়াসির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন বলে উল্লেখ করেছেন মঈন, এই লেগ স্পিনার মূলত আছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।

কয়েক দিন আগে হাফিজের কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। সেসময় হতাশা প্রকাশ করলেও সময়ের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি তারকার সিদ্ধান্তকে সম্মান করার কথা জানান তিনি, ‘হাফিজ গত কয়েক মাসে আমাদের সেরা পারফর্মারদের একজন। পারফরম্যান্সের এই স্বীকৃতি সে গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ। তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সে ২০২১-২২ সালের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে চায়।’

গত ১২ মাসে টি-টোয়েন্টিতে হাফিজের (৩৩১ রান) চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল ইংল্যান্ডের ডাভিড মালান (৩৮৬ রান)। আন্তর্জাতিক মঞ্চের পাশাপাশি ঘরোয়া পর্যায়েও হাসছে তার ব্যাট। চলমান পিএসএলের প্রথম তিন ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে যথাক্রমে অপরাজিত ৩৩, অপরাজিত ৭৩ ও ৬০ রান করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

25m ago