যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের এক ডোজের ভ্যাকসিন অনুমোদন

জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত এক ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
Johnson
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত এক ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

আজ রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এটিই এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া করোনার একমাত্র এক ডোজের ভ্যাকসিন।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের তিনটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো। এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মর্ডানার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছিল দেশটি। ওই দুই সংস্থার ভ্যাকসিন নিতে হয় দুই ডোজ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৫১ লাখেরও বেশি মানুষ। দেশটিতে ভ্যাকসিনের চাহিদা এখনো সরবরাহের চেয়ে বেশি।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কোভিড রেসপন্স টিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অ্যান্ডি স্লাভিট এক টুইটে বলেন, ‘তৃতীয় একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। এটি একটি ভালো সংবাদ।’

জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনটি পরিবহন করাও সহজ। এই এক ডোজের ভ্যাকসিনটির জন্য বিশেষ স্টোরেজের প্রয়োজন হয় না।

ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছে। ট্রায়ালের ফলাফলে এর কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ডেটা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন দেওয়ার কমপক্ষে ২৮ দিন পর্যন্ত যাচাই করে দেখা গেছে যে গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে এটি ৮৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে মাঝারি ধরনের অসুস্থতা হিসাব করলে সামগ্রিকভাবে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর।

উল্লেখযোগ্য হলো, ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago