মনে হচ্ছিল জেলখানায় আছি: মিরাজ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউজিল্যান্ড সরকারের আছে কড়া নীতি। সেদেশে বিদেশ থেকে কেউ ভ্রমণ করলেই যেতে হয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। দফায় দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়াও ১৪ দিন কড়া কিছু নিয়ম পালন করার পর ঘটে মুক্তি।

নিউজিল্যান্ডে এয়ারপোর্ট থেকেই সোজা ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে। সেখানে আলাদা কক্ষে প্রত্যেকে প্রথম তিনদিন থেকেছেন একেবারে বন্দি। তিনদিন পর ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে হাঁটতে দেওয়া হচ্ছে তাদের। রোববার তেমনি রুটিন অনুযায়ী বাইরে এসে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, একেবারেই ভিন্ন পরিস্থিতিতে তার কাছে মনে হচ্ছিল বন্দি আছেন জেলখানায়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ  নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিউজিল্যান্ড সরকারের আছে কড়া নীতি। সেদেশে বিদেশ থেকে কেউ ভ্রমণ করলেই যেতে হয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। দফায় দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা  ছাড়াও ১৪ দিন কড়া কিছু নিয়ম পালন করার পর ঘটে মুক্তি। এই সময়ে পাওয়া যায় না কোন রুম সার্ভিসও। 

জীবন প্রথম এমন অভিজ্ঞতায় পড়ে হাঁসফাঁস লাগছিল ক্রিকেটারদের। মিরাজ জানালেন সে অভিজ্ঞতার কথা,  ‘বুঝতেই পারছেন কেমন লাগছে। এই প্রথম পাঁচটা দিন হোটেলের ভেতর কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না, কারো সঙ্গে দেখাও হয়নি। প্রথম তিনদিন তো ফোনে ফোনে কথা হয়েছে সবার সঙ্গে। ভিডিও কলে কথা হয়েছে এক রুম থেকে আরেক রুমে। অনেকটা বিরক্ত লাগছিল। তবে যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে। আশা করি আরও দুদিন সহজেই কেটে যাবে।’

‘প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপরে আধাঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন প্রথমদিন বেরিয়েছিলাম গত কাল, আমার মাথা একটু ঘুরছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়েছে। প্রথম তিন দিন যে ঘরের ভেতর বন্দি ছিলাম। আমার নিজের মনে হচ্ছিল জেলখানায় আছি। হতাশা কাজ করছিল, এরকম অনুভূতি হচ্ছিল আরকি। বাইরে বেরিয়ে এসে এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানালাম তখন একটু ভাল অনুভূতি হচ্ছিল। একটু ফ্রেশ লেগেছে।’

নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনূসের সঙ্গে রোববার মিরাজসহ বের হয়েছিলেন, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। টানা চার দেয়ালে বন্দি থাকার পর তাদের কাছে এই ৩০ মিনিট এখন হাঁপ ছাড়ার জায়গা,   ‘আজও বের হয়ে ভাল লাগছে। সারাদিন রুমে থাকতে তো ভাল লাগে না। তিন-চার দিন একই রকম থাকা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু এই যে ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেওয়া হয় এটার জন্য ভাল লাগে।’

কোয়ারেন্টাইন এর মাঝেও টিমমেটদের সাথে আড্ডা

Rubel Hossain এতে পোস্ট করেছেন শুক্রবার, 26 ফেব্রুয়ারি, 2021

প্রথম ৭ দিন ৩০ মিনিট হাঁটা ছাড়া বাকিটা সময় নিজের নিজের কক্ষেই বন্দি থাকতে হবে। অষ্টম দিনে গিয়ে ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে মাঠে হালকা অনুশীলন আর জিমের সুযোগ মিলবে। তখন থেকে পরিস্থিতি আর অস্বস্তিকর থাকবে না বলে মত মিরাজের,  ‘৬-৭ দিন পর যখন গ্রুপে ভাগ হয়ে আমাদের জিম ও মাঠে যেতে দেওয়া হবে তখন ভাল লাগবে।’

১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড শেষ হলে নিউজিল্যান্ড অবশ্য আর কোন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে না ক্রিকেটারদের। একদম স্বাভাবিক সময়ের মতো ইচ্ছেমতন ঘুরতে ফিরতে পারবেন তারা।

২০ মার্চ ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের সিরিজ। ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে বাকি দুই ম্যাচ। ২৮ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি, ৩০ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ও ১ এপ্রিল শেষ ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

13h ago