দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন জাবির ২ শিক্ষার্থী

JU.jpg
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষার্থীকে ফলের জুস খাওয়ানো হয়। ছবি: স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।

ছয়টি দাবি মেনে নেওয়ায় গতকাল রাত ১২টার দিকে অনশন ভাঙেন তারা। এসময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষার্থীকে ফলের জুস খাওয়ানো হয়।

এর আগে, রোববার বিকাল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন দেওয়াসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- আগামী ২৫ মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে সব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করা, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করা, ৭ মার্চের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের অনলাইন ক্লাসের রুটিন দেওয়া, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা, যেসব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে আর্থিকভাবে সচ্ছল নন, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এ ছাড়া, ২৪ মের আগে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হলে উপরোক্ত তারিখগুলো পুনর্বিন্যাস করে দ্রুততম সময়ে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু করা।

এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টগণ।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন জাবির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। সবশেষে পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:

জাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে ২ শিক্ষার্থী

Comments

The Daily Star  | English
government action against rising crime

Nationwide combing operation launched to curb rising crime: home adviser

The adviser announced the decision after a meeting on law and order following a series of alarming incidents

1h ago