ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি, সাত ছাত্রনেতাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি, সাত ছাত্রনেতাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

আজ সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে তারা অবস্থান ধর্মঘট করেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা আদালত অভিমুখে যাত্রা করেন। মিছিলটি ডিসি অফিসের প্রবেশমুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। এখনো পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। মিছিলে ব্যাপক সংখ্যক পাটকল শ্রমিক অংশ নিয়েছেন।

ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে বক্তারা রুহুল আমিনের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করেন। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। কিছু বলতে গেলেই সরকার ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের  আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ দোলন বলেন, সরকারের সমালোচনা করায় ওই আইনে লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১০ মাসের মতো কারাগারে থাকার পর কারাগারেই মারা গেছেন মুশতাক আহমেদ। কিশোরের অবস্থাও ভালো নয়। আবার এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতুন করে একই আইনে মামলার শিকার হয়েছেন রুহুল আমিন। তারা অবিলম্বে রুহুল আমিনের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

আজকের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— মুক্তি কাউন্সিলের হুমায়ুন কবির, চলচ্চিত্রকর্মী মিহির কান্তি মণ্ডল, মাতঙ্গী নাট্যদলের সদস্য জয়ন্তী, ছাত্র-যুব আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সহ-আহ্বায়ক মেহেরুন নাহার, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সুমাইয়া রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলামিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর গোয়ালখালির একটি মেস থেকে থেকে রুহুল আমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময়ে একই বাড়ি থেকে ওই সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মুর্শিদ দোলনকেও আটক করে পুলিশ। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে দোলনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর রুহুল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ওই দিন আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago