উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ‘কান্নাকাটিতে’ বিরক্ত ভিভ রিচার্ডস
আহমেদাবাদে গোলাপি বলের টেস্ট স্পিনারদের রাজত্বে দুইদিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় উইকেট নিয়ে আপত্তি তোলে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জো রুট রাখঢাক না রেখেই করেন সমালোচনা। মাইকেল ভন, অ্যান্ড্রু স্ট্রসরা বলেন এমন উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তো এই মতের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েই আসছেল। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ন্যাথান লায়ন। এবার ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসকেও পাওয়া গেল একই ভূমিকায়। উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের বাড়াবাড়ি রকমের আহাজারিতে বরং বিরক্ত তিনি।
আহমেদাবাদে তৃতীয় টেস্ট ভারতের কাছে ১০ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। খেলা শেষ হয়ে যায় দুদিনেই। দুদল মিলিয়ে রান হয়েছে ৩৮৭। উইকেট পড়েছে ৩০টি। যার মধ্যে স্পিনাররাই ২৮ উইকেট।
প্রথম সেশন থেকেই ধুলো উড়তে থাকা উইকেটে স্পিনারদের টার্ন আর বাউন্সে ব্যাটসম্যানরা পড়েন কঠিন চ্যালেঞ্জে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে এটিই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এরপরই এমন উইকেট নিয়ে সমালোচনা মুখর হয়ে পড়েন ইংল্যান্ডের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। যদিও তাদের সঙ্গে দ্বিমত করে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাথান লায়নের মতন কেউ কেউ।
এবার ইউটিউবে দেওয়া এক ভিডিওতে দুনিয়ার এক সময়ের সবচেয়ে দাপুটে ব্যাটসম্যানদের একজন রিচার্ডসও কথা বললেন উইকেটের পক্ষে, ‘যে উইকেটে খেলা হয়েছে তা নিয়ে অতিরিক্ত কান্নাকাটি, মাতম হয়েছে বলেই মনে করছি। আমার মতে যারা এত আহাজারি করছে তাদের বোঝা দরকার, যখন পেসবান্ধব উইকেটে খেলা হয় তখন গুড লেংথ থেকে বল লাফায়। তখন তো সবার মনে করে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা। ব্যাটসম্যানরাই এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে।’
রিচার্ডসের মতে ভারতে স্পিনবান্ধব উইকেটই থাকবে, ইংল্যান্ডের সেভাবেই তৈরি হওয়া দরকার ছিল, ‘এখন আপনি দেখছেন স্পিন বান্ধব উইকেট। এই কারণেই তো খেলাটার নাম টেস্ট ক্রিকেট। এখানে মনোবল আর স্কিলের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আপনারা কী ভুলে যাচ্ছে খেলা কোথায় হচ্ছে? ভারতে গেলে তো এর (স্পিনিং উইকেট) জন্য তৈরি থাকতে হবে। কীসের মোকাবেলা করছেন তার জন্য প্রস্তুত হয়ে তো যাবেন।’
কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের এই আহাজারি বন্ধ হওয়া দরকার। তিনি বরং চতুর্থ টেস্টেও একই রকম উইকেট চান, ‘এসব মাতম, অজুহাত বন্ধ হোক। আমার এই উইকেট দেখে ভালই লেগেছে। এতে বরং ইংল্যান্ডকেও নিজেদের সামর্থ্য আরও পরখের সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি ম্যাচ আয়োজনে যুক্ত থাকলে আবার একই উইকেট বানাতাম।’
Comments