বার্সার সাবেক সভাপতি বার্তোমেউ গ্রেফতার

বিষয়টি অনুমিতই ছিল। বার্সাগেট কেলেঙ্কারিতে বেকায়দায় ছিলেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তখন থেকেই আলোচনা যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। অবশেষে তাই হলেন। সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেছে কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স -দ্য মোসেস দ'এস্কুয়াদ্রা। একই দিনে বার্সার ক্লাব অফিসেও তল্লাসি চালিয়েছে পুলিশ।
josep maria bartomeu
ছবি: এএফপি

বিষয়টি অনুমিতই ছিল। বার্সাগেট কেলেঙ্কারিতে বেকায়দায় ছিলেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তখন থেকেই আলোচনা যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। অবশেষে তাই হলেন। সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেছে কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স -দ্য মোসেস দ'এস্কুয়াদ্রা। একই দিনে বার্সার ক্লাব অফিসেও তল্লাসি চালিয়েছে পুলিশ।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনাসেরের সংবাদ অনুযায়ী, সোমবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় বার্তোমেউকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দুই পরিচালক অস্কার গ্রাউ ও রোমান গোমেজ পন্তিকেও। এছাড়া  পুলিশ স্টেশনে আনা হয় বার্তোমেউর পরামর্শদাতা জুমি মাসফেরারও তার সঙ্গে ছিলেন। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই কাদেনাসেরই গুরুতর অভিযোগ আনে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে। ক্লাবের উপর সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র খেলোয়াড় এমনকি সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায় বার্সেলোনা।

মূলত বার্তোমেউয়ের সুনাম রক্ষা করতে এবং যারা তার সঙ্গে একমত নন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে 'আই থ্রি' নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করে বার্সেলোনা। মেসি-গার্দিওলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ফেসবুক ও টুইটারে কয়েক ডজন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি জেরার্দ পিকে এবং দলটির কিংবদন্তি সাবেক তারকা জাভি হার্নান্দেজ ও কার্লেস পুয়োলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। বাদ পড়েননি সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও। গণমাধ্যমে এই কেলেঙ্কারির নাম দেয়- 'বার্সাগেট'।

পরে জানা যায় শুধু আই থ্রি নয়, আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। এনএসজি সোস্যাল সায়েন্স ভেনচার এসএল, তন্ত্র সফট এসএ, ডিজিটাল সাইড এসএ, বিগ ডেটা সলিউশন এসএ এবং ফিউচারিক এসএ নামক প্রতিষ্ঠান ভাড়া করে তারা। তার অনুসন্ধান করতে সোমবার সকালে বার্সেলোনার ক্লাব অফিসেও তল্লাসি চালায় কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স - দ্য মোসেস দ'এস্কুয়াদ্রা। কাতালনা ক্লাবের সূত্র ধরে কাদেনাসেরা জানিয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়েই ক্লাবটিতে তল্লাসি চালায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে বার্সাগেট কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কিছু দিন পর পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ পায়। ক্লাবটি সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি ভিন্ন কাজের জন্য মোট ছয়বার চুক্তি করেছে বলে জানায় তারা।

Comments