আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের প্রতিবাদ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছবি: স্টার

আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

আজ সোমবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দাবিগুলো হলো- ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল, লেখক মুশতাকের হত্যার বিচার, সম্প্রতি আন্দোলন-সংগ্রামে যেসব শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় হল খুলে দেওয়া।

এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে শিগগির তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। নাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।

সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী কালো আইন। এই আইন বাতিল করতে হবে। এ আইন বাতিল করা না হলে অন্যান্য সংগঠন ও জনগণকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু, কিছু কিছু পুলিশের ভূমিকা তো আমরা দেখেছি, তারা ছাত্রদের মারছেন, নারীদের লাঞ্ছনা করছেন, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অমানবিক আচরণ করছেন। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বর্তমানে আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’

নুর বলেন, ‘যখন ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে যায়, যখন শাহবাগ থানার সামনে তাদের মারধর করা হয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টরের কার্যকর ভূমিকা দেখতে পাই না। যে প্রক্টর ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের পক্ষে নৌকায় ভোট চায়, সে প্রক্টরের কাছ থেকে ও উপাচার্যের কাছ থেকে শিক্ষকসুলভ আচরণ কীভাবে প্রত্যাশা করবেন।’

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে লেখক, সাংবাদিকদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে। আমরা দেখেছি চট্টগ্রামে সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারকে গুম করে রাখা হয়েছিল, সুনামগঞ্জে কামাল হোসেন নামের এক সাংবাদিককে পিটিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সর্বশেষ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু, মত প্রকাশ করতে গেলে লেখক সাংবাদিকদের কালো আইন ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago