জামিন পেয়েছেন বার্তোমেউ

বার্সেলোনা ক্লাবের সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউ, ছবি: এএফপি ফাইল

অবশেষে জামিন পেয়েছেন বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। 'বার্সাগেট' কেলেঙ্কারির কারণে গ্রেফতার হওয়ার পর এক রাত পুলিশের হেফাজতে থেকে মঙ্গলবার জামিনে মুক্ত হন।

সোমবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বার্তোমেউকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দুই পরিচালক অস্কার গ্রাউ, রোমান গোমেজ পন্তি ও পরামর্শদাতা জুমি মাসফেরারকেও। বার্তোমেউর সঙ্গে জামিন মিলেছে তাদেরও।

মূলত তদন্তের স্বার্থেই আগের রাতে পুলিশি হেফাজতে থাকেন বার্তোমেউ। তবে জানা গেছে পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।

শুরু থেকেই বার্সাগেট মামলা অনেক গোপনীয়ভাবে অনুসন্ধান করে যাচ্ছিল কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স -দ্য মোসেস দ'এস্কুয়াদ্রা। কারণ এর আগে গত জুলাইয়ে তড়িঘড়ি করে অনুসন্ধান করায় কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কিছু দিন পর পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ পায়। ক্লাবটি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ভিন্ন কাজের জন্য মোট ছয়বার চুক্তি করেছে বলে জানায় তারা।

মঙ্গলবার অবশ্য সকালে সংক্ষিপ্তকারে কার্যক্রমের গোপনীয়তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বিচারকের সামনে উপস্থাপন করার আগে এ মামলা আরও দুইবার অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনাসের এ গুরুতর অভিযোগ আনে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে। ক্লাবের উপর সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র খেলোয়াড় এমনকি সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায় বার্সেলোনা।

মূলত বার্তোমেউয়ের সুনাম রক্ষা করতে এবং যারা তার সঙ্গে একমত নন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে 'আই থ্রি' নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করে বার্সেলোনা। মেসি-গার্দিওলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ফেসবুক ও টুইটারে কয়েক ডজন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি জেরার্দ পিকে এবং দলটির কিংবদন্তি সাবেক তারকা জাভি হার্নান্দেজ ও কার্লেস পুয়োলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। বাদ পড়েননি সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও। গণমাধ্যমে এই কেলেঙ্কারির নাম দেয়- 'বার্সাগেট'।

পরে জানা যায় শুধু আই থ্রি নয়, আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। এনএসজি সোস্যাল সায়েন্স ভেনচার এসএল, তন্ত্র সফট এসএ, ডিজিটাল সাইড এসএ, বিগ ডেটা সলিউশন এসএ এবং ফিউচারিক এসএ নামক প্রতিষ্ঠানকেও ভাড়া করে তারা। তার অনুসন্ধান করতে সোমবার সকালে বার্সেলোনার ক্লাব অফিসেও তল্লাসি চালায় কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স।

Comments

The Daily Star  | English

Sheikh clan’s lust for duty-free cars

With an almost decimated opposition and farcical elections, a party nomination from the ruling Awami League was as good as a seat in the parliament.

7h ago