চট্টগ্রাম কারাগারে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারসহ চার জনের বিরুদ্ধে এক বন্দিকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারসহ চার জনের বিরুদ্ধে এক বন্দিকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার কারাগারে নির্যাতনের শিকার রুপম কান্তি নাথ স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম-২ হোসাইন মো. রেজার আদালতে নির্যাতনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। আদালত পরে উপযুক্ত আদালতে অভিযোগ দাখিলের নির্দেশ দিলে আজ তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ জমা দেন।

আইনজীবী ভুলন বলেন, ‘দায়রা জজ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

লিখিত অভিযোগে জেল সুপার, জেলার, সহকারী সার্জন ও ভুক্তভোগীর ব্যবসায়িক অংশীদার রতন ভট্টাচার্যকে আসামি করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার রুপম কান্তি নাথ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ভুলন।

আদালতে অভিযোগে বলা হয়েছে, কারাগারের ভেতরে তার শরীরে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

অভিযোগের বরাত দিয়ে আইনজীবী ভুলন বলেন, ‘রতন এবং ভুক্তভোগী রুপম ব্যবসায়ী অংশীদার। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রতনের দায়ের করা একটি মামলায় সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যান রুপম। সেই থেকে তিনি কারাগারের ভেতরে সাংগু ভবনে ছিলেন।’

 ‘কিছুদিন আগে কারাগার থেকে রুপমের স্ত্রীকে ফোন করে জানানো হয় তার স্বামী অসুস্থ এবং তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার ব্যয়ভার জেল কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলেও জানানো হয়।’

এ ঘটনার পর আদালতে ঝর্ণা রানী তার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি তা মঞ্জুর করেন বলে জানান অ্যাডভোকেট ভুলন।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেলে গিয়ে ঝর্ণা রানী স্বামীকে দেখে নির্যাতনের কথা বুঝতে পারেন। রুপম তাকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এর পরই হাসপাতাল পরিচালকের কাছে আলামত সংগ্রহ করে রাখার আবেদন করেন ঝর্ণা।’

‘একে অপরের যোগসাজশে রতনের প্ররোচনায় জেল কর্মকর্তারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুপমের স্বীকারোক্তি আদায় ও শারীরিক নির্যাতন করায় আসামিদের বিরুদ্ধে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারাগারের ভেতরে বন্দী নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। রুপমের ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ায় ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

‘অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কারা কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago