যাত্রাবাড়ী থেকে ৩ ‘হুজি’ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) অপারেশন শাখার প্রধানসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‍পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) অপারেশন শাখার প্রধানসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‍পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল সোয়া ৫টায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগ (সিটিটিসি) তাদের গ্রেপ্তার করেছে।’

এরা হলেন— মো. মাইনুল ইসলাম, শেখ সোহান স্বাদ ও মুরাদ হোসেন কবির। সিটিটিসি জানায়, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছে একটি চাপাতি, দুটি ছোড়া, ১০টি ডেটোনেটর, ১৭০টি বিয়ারিং বল, একটি স্কচটেপ, পাঁচ লিটার এসিড, তিনটি আইডি কার্ড ও একটি জিহাদি বই পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও একটি মাইক্রোফোন জব্দ করা হয়েছে।

সিটিটিসি আরও জানায়, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর সক্রিয় সদস্য। হুজির পূর্ণাঙ্গ শুরা কমিটি গঠন, অর্থ, অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং কারাগারে আটক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের জামিনের ব্যবস্থা করতে মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা একত্রিত হয়েছিলেন।’

‘কারাগারে আটক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর ও ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানের নির্দেশে সাংগঠনিক কাজ করছিলেন তারা। মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে হুজির অপারেশন বিভাগের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা শহরে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তিন জনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে’— জানায় সিটিটিসি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago