জমি অধিগ্রহণ করে হলেও প্রতি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করে দেব: মেয়র তাপস
প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের ছেলেরা যেন মাঠে ফিরে আসে, খেলাধুলা করে। কিন্তু আমরা দেখেছি যে, প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত খেলাধুলার জায়গা নেই। আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলাধুলার জায়গা সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরইমধ্যে আমরা কয়েকটি ওয়ার্ডে কিছু জায়গা উদ্ধার করেছি। এটা দুরূহ কিন্তু একটু কষ্ট হলেও আমরা আশাবাদী যে, পর্যায়ক্রমে আমরা সফলতা পাব। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করে হলেও আমাদের সন্তানদের জন্য আমরা খেলার মাঠ করে দেব।’
আজ শুক্রবার বিকালে নগরীর ডেমরাস্থ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের করিম জুট মিলস মাঠে আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১ এর তৃতীয় পর্বের ফুটবল খেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১ আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে ঢাকাব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস সৃষ্টি হয়েছে।’
ডেঙ্গু নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি তাতে এরইমধ্যে মশার উপদ্রব আগের চাইতে কমতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও বলেছি- আমাদেরকে বিশেষজ্ঞ মহল যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেটা হল, তারা মনে করেছেন- যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপটা ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে, সেহেতু ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদেরকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা তাই করেছি। সে জায়গাতেই আমার মনে হয়েছে যে, কৌশলে আমাদের একটু ভুল আছে। আমাদেরকে নভেম্বর থেকেই কিউলেক্স মশার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া আরম্ভ করা উচিত ছিল। কারণ, নভেম্বরে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই পানির গভীরতা কমতে শুরু করায় পানি কলুষিত হয়ে গেছে এবং ময়লা আবর্জনার কারণে কিউলেক্স মশার জন্য তা প্রজনন উপযোগী স্থান হয়ে গেছে।’
এ বছর এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এবং নভেম্বর থেকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে মেয়র জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
Comments