নোয়াখালীতে ৭ মার্চে আ. লীগের ২ গ্রুপের ৪ কর্মসূচি
নোয়াখালীতে আজ রোববার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের দুই গ্রুপ চারটি পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং বালুর মাঠে আলোচনা সভা ডাকেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যা খাঁন সোহেল। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে সমাবেশ চলছে।
অপরদিকে, আজ দুপুর ৩টায় সোনাপুর কলেজ মাঠে আলোচনা ডেকেছেন শহীদ উল্যা খাঁনের প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
গতকাল শনিবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নোয়াখালী আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য আওয়ামী লীগ নয়। কেউ লাইভে এসে কিছু বললেই আওয়ামী লীগের ক্ষতি এটা সেই আওয়ামী লীগ না। নোয়াখালী আওয়ামী লীগ অনেক স্ট্রং।’
তিনি ৭ মার্চ উপলক্ষে রোববার বিকালে সোনাপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যারা এমপি একরামকে ভালোবাসেন, যারা বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক ও শেখ হাসিনার সৈনিক, তারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।’
এছাড়াও, জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর মেয়র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে সকাল ১১টায় ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
একই সময়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ডাকবাংলোতে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করছেন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে তাদের অনুষ্ঠানগুলো চলছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কোন্দলে জেলার তৃণমূলে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। দলের হাইকমান্ড কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে এ বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন কয়েকজন নেতাকর্মী।
আজ সকাল থেকে মাইজদী শহরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিক-আপ ভ্যান ও পায়ে হেঁটে পক্ষে-বিপক্ষে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম পৃথক পৃথক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে কোনো উত্তেজনা নেই। তবে নেতা কর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। এতে কোন সমস্যা নেই।’
আওয়ামী লীগের পৃথক পৃথক কর্মসূচির বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে কোনো উত্তেজনা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ রয়েছে। এছাড়াও, অনুষ্ঠানগুলো পৃথক পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
Comments