দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ স্থগিত
আভাস মিলেছিল আগেই। অবশেষে তা সত্যি হলো। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের মার্চ মাসের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো স্থগিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ও কোয়ারেন্টিনের কড়া বিধিনিষেধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত মহাদেশটির সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল)।
তারা বলেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সময়মতো খেলোয়াড়দের পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থগিত হওয়া ম্যাচগুলোর সূচি পরে নির্ধারণ করা হবে।
আগামী ২৫-২৬ ও ৩০ মার্চ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ের দুটি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোয়ারেন্টিনের নিয়মের কারণে ইউরোপের ক্লাবগুলো দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলারদের ছাড়তে রাজী নয়। সেকারণে ম্যাচগুলো স্থগিত করাকেই সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধান মনে করেছে কনমেবল।
লিওনেল মেসি, নেইমার, লুইস সুয়ারেজসহ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলারদের বড় একটা অংশ খেলে ইউরোপে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য ভালো মানের স্কোয়াড গঠন করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ত মহাদেশটির দশ দলের।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দেশ যুক্তরাজ্য সরকারের ‘লাল তালিকা’ভুক্ত রয়েছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে বাধ্যবাধকতা। খেলোয়াড়দের জন্যও নেই কোনো ছাড়। যুক্তরাজ্যে খেলা সব খেলোয়াড়কে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফিরে ১০ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।
ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা ও লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো তারকা কোচরাও বাছাইয়ের জন্য খেলোয়াড়দের ছাড়ার বিপক্ষে। কেন? সে যুক্তিও আছে তাদের কাছে। গার্দিওলা সম্প্রতি বলেন, ‘ছয়, সাত, আট কিংবা নয় জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দশ দিনের জন্য (কোয়ারেন্টিনে থাকায়) খেলতে পারবে না। এর কোনো মানে নেই। তারা (জাতীয় দলের হয়ে খেলতে) বিমানে চড়বে না।’
সেখানেই শেষ নয়। ইতোমধ্যে ব্রাজিল থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলম্বিয়া। এমনকি চার্টার ফ্লাইট অবতরণের অনুমতিও নেই। তাই দুদলের আগামী ২৬ মার্চের ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই।
স্থগিত হওয়ায় বেশ কিছু হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখার অপেক্ষা বাড়ল ফুটবলপ্রেমীদের। নেইমারদের আরেকটি ম্যাচ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। অন্য ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল মেসিদের।
Comments