‘আঁধার ভাঙার শপথ’
৮ মার্চ রাত ১২টা বেজে এক মিনিট। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শপথ বাক্য পাঠ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছেন ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’র সদস্যরা।
এর মধ্য দিয়ে আমরাই পারি জোটের ‘আঁধার ভাঙার শপথ’ কর্মসূচি ১২ বছর অতিক্রম করল। আমরাই পারি’র জনপ্রিয় এই কর্মসূচির যুগপূর্তিতে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি অনলাইন কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপ্রধান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় কমিটির সদস্য ফওজিয়া খন্দকার ইভা, শিপা হাফিজা, এমবি আখতার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং আমরাই পারি ৪৮টি জেলার জেলা জোটের আহ্বায়কবৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন আমরাই পারি জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে, আমরাই পারির ১২ বছর ধরে উদযাপিত আঁধার ভাঙার শপথ কর্মসূচিতে আমি প্রতিবার আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরেছি, হাঁটতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর সমস্যা থাকার পরেও নারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেখেছে কী করে করোনা মহামারিকে প্রবল সাহসিকতা এবং দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব। তবুও নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।’
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনলাইন কর্মসূচিতে আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল শপথবাক্য পাঠ করান। এতে প্রতিদিন একজন সচেতন মানুষ হিসেবে কমপক্ষে ১০ জন পরিচিত ব্যক্তিকে নারী নির্যাতন বন্ধে অবগত করার শপথ নেওয়া হয়।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অনেক অগ্রগতি ঘটেছে।’
পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমতায়নের মেলবন্ধন হওয়ার পথে প্রচুর ঘাটতি রয়েছে।
তিনি একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বৈষম্যমূলক আইন বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, যা নারীর অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে বাড়িয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Comments