ব্রিটিশ রাজপরিবারে বর্ণবাদের অভিযোগ মেগান মার্কেলের

ছবি: রয়টার্স

ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনলেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। তাদের ছেলের জন্মের আগে তার গায়ের রঙ কতটা কালো হবে তা নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার উদ্বিগ্ন ছিল। এমনকি একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন মেগান।

অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে মেগান এমন সব অভিযোগ তুলেছেন যা দেশটির রাজতন্ত্রকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। রোববার রাতে সিবিএস চ্যানেলে সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার হয়েছে।

৩৯ বছর বয়সী মেগান মার্কেলের মা একজন কৃষ্ণাঙ্গ ও বাবা শ্বেতাঙ্গ। ২০১৮ সালে রাজপরিবারে বিয়ের আগ পর্যন্ত আত্মপরিচয়ের এই বিষয়টি তাকে কখনো ভাবতে হয়নি। কিন্তু, রাজপরিবারের এমন বর্ণবাদী আচরণে কাউকে পাশে না পেয়ে তিনি এক পর্যায়ে আত্মঘাতী চিন্তা শুরু করেন বলে জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।

মেগান বলেন, ‘জন্মের পর ছেলের গায়ের রঙ কতটা কালো হবে’ রাজপরিবারের এমন উদ্বেগের কারণে তার ছেলে আর্চি ‘প্রিন্স’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছে।

‘হ্যারির কাছ থেকে আমি শুনেছি। তার সঙ্গে পরিবারের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল,’ বলেন তিনি।

তবে, আর্চির গায়ের রঙ নিয়ে কার এমন উদ্বেগ ছিল হ্যারি এবং মেগান দুজনেই তা বলতে অস্বীকার করেন।

নাম প্রকাশ না করলেও রাজপরিবারের কিছু সদস্যকে মেগান নৃশংস, নিচু মনের ও বর্ণবাদী হিসেবে বর্ণনা করেছেন দুই ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারে।

হ্যারি বলেন, রাজপরিবার থেকে তাদের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যায় এবং তার বাবা প্রিন্স চার্লস এক পর্যায়ে তার ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। তবে, মেগান-হ্যারির কেউই সরাসরি রানী এলিজাবেথের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলেননি।

বাকিংহাম প্যালেস থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই সাক্ষাত্কারের বিষয়ে তাত্ক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পর যুক্তরাজ্যের শিশু বিষয়ক মন্ত্রী ভিকি ফোর্ড সোমবার সকালে স্কাই নিউজকে বলেছেন যে ব্রিটিশ সমাজে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই।

হ্যারি-মেগানের পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখেননি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখিনি, তাই কোনো মন্তব্য করব না। কিন্তু, আবারও আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের সমাজে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। এটা যেন কোনোভাবেই না হয়, তা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

11h ago