কোয়ারেন্টিন শেষ, বুধবার থেকে ‘মুক্ত’ বাংলাদেশ দল
প্রথম তিন দিন এক কক্ষে আবদ্ধ থাকার পর চারদিন ৩০ মিনিট করে মুক্ত বাতাসে হাঁটার সুযোগ। এরপরের সাতদিন দুই ঘণ্টা করে ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন। কোয়ারেন্টিনের সব ধাপ এভাবেই পার করে ফেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রতিটি ধাপের আগেই হয়েছে একবার করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা। মঙ্গলবার শেষ কোভিড-১৯ পরীক্ষাতেও দলের সবার ফল নেগেটিভ এসেছে। বুধবার থেকে তাই আর থাকছে না কোন বিধি নিষেধ।
নিউজিল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী সেদেশে ভ্রমণকারীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের পর দেওয়া হয় মুক্ত চলাচলের সুযোগ। করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়া মাস্ক, নিরাপদ দূরত্ব ইত্যাদির ঝামেলাও আর নেই। জৈব সুরক্ষা বলয়ের ফ্যাসাদ ছাড়াই ক্রিকেটাররা করতে পারবেন মুক্ত চলাচল।
মঙ্গলবার কোয়ারেন্টিনের মধ্যে শেষবারের মতো অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এদিন সবার মাঝেই ছিল হাঁপ ছেড়ে বাঁচার আনন্দ। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের কণ্ঠে পাওয়া গেল সেই সুর, ‘অনেক ভাল লাগছে। কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে, আজ শেষ দিন কোয়ারেন্টিনের, কোয়ারেন্টিনের মধ্যে আজ শেষ অনুশীলনও।’
অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আরেক তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম জানান, পুরো দিন কাজে লাগানোর আনন্দ ভর করছে তার মাঝে, ‘প্রথম সাতদিন খুব বাজে লাগছিল। পরের সাতদিন দুই ঘণ্টা করে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে ভাল লেগেছে একটু। এখন তো একদম মুক্ত। পুরোদিন কাজে লাগানো যাবে।’
কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর বুধবারই ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে কুইন্সটাউনে যাবে বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে সেখানেই চলবে দলের অনুশীলন। ২০ মার্চ ডানেডিনে স্বাগতিকদের প্রথম ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডের জন্য ফের ক্রাইস্টচার্চ আসতে হবে বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে হবে শেষ ওয়ানডে।
এরপর ২৮ মার্চ হ্যামিল্টনে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার পর নেপিয়ারে ৩০ মার্চ খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচ। ১ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ হবে অকল্যান্ডে।
Comments