বাউফলে ‘ওসির সঙ্গে আসামিদের সেলফি’র ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি

পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলার আসামিদের সেলফি ও ছবি তোলার ঘটনায় এক সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওসির সঙ্গে আসামিদের ছবি | সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলার আসামিদের সেলফি ও ছবি তোলার ঘটনায় এক সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মুকিত হাসান খানকে প্রধান করে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ আজ মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করেন।

আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসপি জানান, ওসির ওই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, বলেন তিনি।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মুকিত হাসান খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং র্নিধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার কয়েকজন আসামি রোববার রাতে বাউফল থানা চত্বরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ওসির সঙ্গে সেলফি ও ছবি তোলেন এবং তারা নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকেই সেসব সেলফি ও ছবি পোস্ট করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ওসির সঙ্গে সেলফি ও ছবি তোলা ওইসব আসামিসহ ১৮-২০ জন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজান মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় মিজান মৃধা বাদী হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি অভিযোগ করলে আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার জন্য বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় ওই মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

বাদী মিজানুর রহমানের অভিযোগ, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার কোনো আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেননি বা পুলিশের কাছেও আত্মসমর্পণ করেননি। বরং আসামিরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। সেই আসামিদের সঙ্গে থানার ওসির সেলফি ও ছবি তোলার ঘটনায় তিনি ভীত, শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তিনি ওই মামলা সুষ্ঠ তদন্ত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।  অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলেছেন। তাদের মধ্যে কে আসামি আর কে আসামি না, তা আমি চিনতে পারিনি।’

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

11m ago