অনেক পরিবর্তন আসতে পারে প্রিমিয়ার লিগে

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বড়, জমজমাট ও মর্যাদাপূর্ণ আসর মানা হয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে। এ আসরেই নির্ভর করে দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের রুটিরুজি। কিন্তু গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ আসর শুরু করেও শেষ করার সম্ভব হয়নি। এক রাউন্ড পরই স্থগিত করা হয়। এবার সে আসরকে ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। তবে আসরের নিয়ম বদলে যেতে পারে অনেক।
ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বড়, জমজমাট ও মর্যাদাপূর্ণ আসর মানা হয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে। এ আসরেই নির্ভর করে দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের রুটিরুজি। কিন্তু গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ আসর শুরু করেও শেষ করার সম্ভব হয়নি। এক রাউন্ড পরই স্থগিত করা হয়। এবার সে আসরকে ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। তবে আসরের নিয়ম বদলে যেতে পারে অনেক।

তবে সবকিছুর আগে খেলোয়াড়দের স্বার্থ নিয়েই ভাবছেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ, 'এই মুহূর্তে আমাদের পরিকল্পনা আমরা (প্রিমিয়ার লিগ) কিভাবে চালু করতে পারি। আমাদের মূল চিন্তাটা হচ্ছে খেলোয়াড়দের নিয়ে। এখানে ২০০ জনের বেশি খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। এটাই কিন্তু অনেক খেলোয়াড়ের মূল রুটি-রুজির জায়গা। এখানে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও খেলে না। সবকিছু মিলিয়ে আমরা চিন্তা করেছি আমাদের এমন একটা সময় বের করতে হবে যেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারি।'

বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সে দেশটিতে আছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। তাই ঠিক এ মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তাদের প্রায় সবাইকেই গত মৌসুমে নিজেদের দলে টেনেছিল ক্লাবগুলো। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজও। আছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও এশিয়া কাপের আসর। ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে এ বছরই। তাই ব্যস্ত সূচি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।

জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে তাই ভাবতেই হচ্ছে সিসিডিএমকে। কাজী ইনাম বলেন, 'জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও ক্লাবগুলোর চুক্তি গত বছর হয়ে গেছে। ক্লাবগুলোও কিছু পারিশ্রমিক ক্রিকেটারদের দিয়ে ফেলেছে। সে বিষয়টা আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ করবো।'

আর এ সকল কারণে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এ আসরের সংস্করণের পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাজী ইনাম। এমনকি হতে পারে দুই ভাগেও, 'মে-জুন মাসে আমরা উইন্ডো দেখছি। হয়তো দুই ভাগে করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা বিবেচনা করতে হতে পারে। সেটি সংস্করণও হতে পারে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগে আমরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট করে পরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করেছি। এবার যদি এমন হয় যে আমাদের যথেষ্ট সময় নেই কিংবা ভেন্যু পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে হয়তো আমরা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে লিগ আয়োজন করবো।'

তবে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান, 'এই বিষয়টি (সংস্করণের পরিবর্তন ও সময়) নিয়ে এখনো আলাপ আলোচনার আছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে আগে বসতে হবে। সবগুলো ক্লাবের মতামত আগে আমরা নিবো। এরপর বোর্ডেরও একটা দিক নির্দেশনা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় যেতে পারবো।' আর এর জন্য খুব শীগগিরই আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি, 'ক্লাবগুলোর সঙ্গে সামনের শনিবার কিংবা রবিবার মিটিং করবো।'

Comments

The Daily Star  | English
engineering brain drain in Bangladesh

Why are Bangladesh's brightest engineering minds leaving?

Engineers leaving Bangladesh for better pay and opportunities.

2h ago