সাইফের সেঞ্চুরিতে জিতল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
saif hassan
ছবি: বিসিবি

আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে। তবে তৃতীয় ম্যাচে সহজেই জিতেছে তারা। মূলত অধিনায়ক সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে কাজটা অনায়াসসিদ্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের তরুণদের।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করে আইরিশরা। জবাবে ২৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছায় বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এর আগে প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছিল। আয়ারল্যান্ড উলভসের অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াসের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রথম ওয়ানডে। পরে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন। এদিন তৃতীয় ম্যাচের আগেও স্থানীয় এক সাপোর্ট স্টাফের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসায় খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়।

এদিন শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ৯টায়। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা আইরিশদের নিরাপত্তা বিভাগের একজন স্থানীয় স্টাফের করোনা পজিটিভ ফল আসায় পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। ফল পেতে ম্যাচ শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে খেলাটি শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়।

এদিন টস হেরে আইরিশ দলটির শুরুটা ভালোই ছিল। দলীয় ৩৩ রানে ওপেনার প্রিটোরিয়াসকে হারালেও আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককালামের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু রকিবুল হাসানের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারে ইনজুরিতে পড়েন এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আর মাঠেই নামতে পারেননি। তখন তাদের দলীয় রান ১ উইকেটে ৬৩।

তবে আইরিশদের ইনিংসের মূল ভিতটা গড়ে দেন ছয় নম্বরে নামা লরকান টাকার। তবে ভালো সমর্থন দিয়েছেন অধিনায়ক হ্যারি টেকটর ও কার্টিস চাম্পারও। চতুর্থ উইকেটে চাম্পারের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন টাকার। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৬০ রান তোলে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন টাকার। আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৫২ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। এছাড়া চাম্পার ৪৩ ও ম্যাককালাম ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৫৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম।

লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোভাবেই করেন সাইফ। ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন সাইফ। এরপর ইয়াসির আলী ও তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে যথাক্রমে ৩১ ও ৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর সাইফ আউট হলে বাকী কাজটা হৃদয়কে নিয়ে শেষ করেন শামিম হোসেন। অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।

দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো এদিনও ঝড়ো ব্যাটিং করেন শামিম। মাত্র ২৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২০ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ১২৫ বলে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। এছাড়া ৪৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

Comments