১৪ ম্যাচেই মেসি-রোনালদোদের পেছনে ফেলে অনেক রেকর্ড হালান্ডের
অবিশ্বাস্য ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছেন আর্লিং হালান্ড। বলতে গেলে প্রায় নিয়মিতই গোল পাচ্ছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের এই তরুণ ফরোয়ার্ড। আগের দিনও স্প্যানিশ দল সেভিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে পেয়েছেন জোড়া গোল। তাতে মেসি-রোনালদোদের মতো তারকা খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন এ তরুণ।
দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগেই সেভিয়ার বিপক্ষে গোল করে এক দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্রুততম ১০ গোল করেছিলেন হালান্ড। আগের দিন পুরো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে কম বয়সে ২০ গোলের রেকর্ডও এটি।
এ আসরের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে গড়েছেন টানা গোলের রেকর্ড। এছাড়া স্বদেশী সাবেক ফুটবলার উলে গুনার সুলশারকে পেছনে ফেলে করেছেন আরও একটি রেকর্ড।
সেভিয়ার সঙ্গে আগের দিন ২-২ গোলে ড্র করে ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগের ৩-২ গোলের জয়ের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে জার্মান ক্লাবটি। এদিন ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন হালান্ড। আর দ্বিতীয়ার্ধে নবম মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
দ্বিতীয় গোলেই দ্রুততম ২০ গোলের মালিক হয়ে যান হালান্ড। এর আগে ২৪ ম্যাচে ২০ গোল করে রেকর্ড করেছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পার্সের হ্যারি কেইন। আর হালান্ডের লেগেছে মাত্র ১৪ ম্যাচ। এছাড়া ইতালিয়ান তারকা আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোর লেগেছিল ২৬ ম্যাচ। তবে বর্তমান সময়ের সেরা দুই তারকা মেসি ও রোনালদোর এ কৃতিত্ব করতে লেগেছিল যথাক্রমে ৪০ ও ৫৬ ম্যাচ।
একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নরওয়ের ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল দেওয়ার রেকর্ডটিও নিজের করে নেন হালান্ড। ১৯ গোল নিয়ে এতদিন রেকর্ডটি ছিল সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ও বর্তমান কোচ সুলশারের।
আর প্রথম গোলে এ আসরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৬ ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়েন ২০ বছর ২৩১ দিন বয়সী হালান্ড। পাশাপাশি ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা চার ম্যাচে জোড়া গোল করার কৃতিত্ব দেখান তিনি।
Comments