নারায়ণগঞ্জে হকার-পুলিশ সংঘর্ষ, ৩ হকার নেতার রিমান্ড আবেদন

নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে বসাকে কেন্দ্র করে হকার-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আটক তিন হকার নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার ৩ জনসহ আরও ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন এসআই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে আটক হকার নেতা আসাদুল ইসলাম, কালু গাজী ও মানিক দেওয়ানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের কাছ থেকে পাঁচটি বাঁশের লাঠি, ২১টি ইটের টুকরো, কাঠে ডাসা ১১টি, দুইটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। এ তিন জনসহ মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সোহেল, টিপু, যুবরাজ, সাজ্জাদ, কায়েস দর্জি, আল আমিন, সিদ্দিক, বিল্লাল হোসেন, মো. রায়হান, মামুন, হৃদয়, জাহাঙ্গীর, শফিকুল, এরশাদ, বিপ্লব, রাজু, রিয়াদ, নিজাম, করিম, সোহেল মিয়া, রিজন, নাসির, সাইফুল, শহিদুল, আমিনুল, মাহাবুব, বিমল কান্তি দাস।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত, সড়ক অবরোধ করে যানজট সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার ৩ হকার নেতাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে শহরের ফুটপাতে বসার দাবিতে আন্দোলন করা হকারদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওইসময় বিক্ষুব্ধ হকাররা বঙ্গবন্ধু সড়ক, সলিমুল্লাহ সড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অবস্থান নিয়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে সাধারণ যাত্রী, পুলিশ ও হকারসহ ৩০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিন হকার নেতাকে আটক করে পুলিশ।
Comments